রাজউক থেকে ৩০ হাজার নথি নিখোঁজ: শুরু অনুসন্ধান
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সার্ভার থেকে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের নথি গায়েব হওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত, সহকারী পরিচালক মোঃ আশিকুর রহমান, পরিচালক (সিস্টেম অ্যানালিস্ট) মোঃ রাজীব হাসানকে রাখা হয়েছে। কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ রাজীব হাসান। কমিটি ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে।
কমিটি গঠন সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে এসেছে। নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। শনিবার দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সার্ভার থেকে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের রেকর্ড গায়েব হওয়ার বিষয়ে রাজউককে তলব করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ঘটনার তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সার্ভার থেকে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের রেকর্ড গায়েব হওয়ার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন বিভাগ-১) মোঃ অলিউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, রাজউককে কারিগরি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে। কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নথি হারিয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে কি না তা তদন্ত কমিটি খুঁজে বের করবে। একইসঙ্গে ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত বা কারিগরি ত্রুটি ছিল কি না তা তদন্ত করে দেখবে কমিটি। এছাড়া কেউ ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, তাও দেখা হবে।
ভবন নির্মাণের অনুমোদন সংক্রান্ত প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের আবেদনের নথি গত ৬ ডিসেম্বর রাজউকের সার্ভার থেকে উধাও হয়ে যায়। হাইকোর্টের নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
