নিষিদ্ধ মহিষের মাংসে গরুর রক্ত ছিটিয়ে বিক্রি
আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় মহিষের মাংস ঢাকার আশুলিয়ায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রায় এক বছর ধরে আমাদের দেশে এসব মাংস আমদানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
একটি মাংসের দোকানের ভিতরে, একটি বরফ-ঢাকা বাক্স থেকে বরফ সরাতে গিয়ে কয়েক প্যাকেট মাংস পাওয়া যায়। প্যাকেটে লেখা Indian Buffalo Frozen Meat মানে ভারতীয় মহিষের হিমায়িত মাংস। তার পাশে রক্তের বোতল। এখন প্রশ্নের মুখে ওই দোকানদার স্বীকার করেছেন, কৌশলে তারা এই মাংস বিক্রি করেছেন
আর প্যাকেটজাত মহিষের মাংসকে তাজা দেখাতে তাজা গরুর রক্ত ছিটিয়ে দেওয়া হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ায় প্রায় ২০ জন পাইকার রয়েছে। তারা ঢাকা থেকে মাংস এনে আশুলিয়ার বিভিন্ন কসাইয়ের দোকানে বিক্রি করে। ভারতীয় মহিষের কলিজা , জিহ্বা, ফুসফুস প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এসব মাংস হালিমের পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে ফুটপাতে ও ব্যক্তিগতভাবে কিছু হোটেলে ।
নরসিংহপুর এলাকার এক বিরিয়ানির দোকানের বাবুর্চি বলেন, মাহাজন রাতে প্যাকেট করে মাংস নিয়ে আসেন। যখন তা রান্না করা হয়, তা থেকে অনেক ফেনা এবং খারাপ গন্ধ আসে। তারপর তাদের সাথে কিছু গরুর মাংস মেশান। প্যাকেটজাত মাংস সস্তা।যেখানে এই প্যাকেটে মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখও অস্পষ্ট।
উপস্থিত একজন কর্মচারী স্বীকার করেছেন যে এগুলো প্যাকেটজাত ভারতীয় মহিষের মাংস। ঢাকা থেকে গভীর রাতে এসব মাংসের চালান আসে। তারপর তারা চাহিদামতো এলাকার বিভিন্ন কসাইয়ের দোকানে পৌঁছে দেয়। ঐ কর্মচারী বলেন, ‘আমার চাচা এসব চালান নিয়ে এসেছেন। আমি এক বছর ধরে এই ব্যবসা করছি।
এ প্রসঙ্গে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. পল্লব কুমার দত্ত বলেন, ভারতীয় হিমায়িত মাংস আমদানি বন্ধ রয়েছে। তাহলে হিমায়িত মাংস বাজারে আসছে কিভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হয়তো অন্য কোনোভাবে দেশে আসতে পারেন। সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।