চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া বাকি চার প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন
চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে মাত্র ১৪ শতাংশ, ১ জন ছাড়া বাকি সবাই পুনঃভোট দাবি করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রদত্ত মোট বৈধ ভোটের এক-অষ্টমাংশ সুরক্ষিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা তাদের জামানত হারিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের পাশের জিমনেশিয়ামে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, উপনির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ৫ লাখ ১৭ হাজার ৬৫২ জন। এর মধ্যে ৭৫ হাজার ৩০৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এই হিসাবে, জামানত ফেরত পেতে একজন প্রার্থীকে কমপক্ষে ৯৪১৩ ভোট পেতে হবে।
ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ পেয়েছেন ৬৭ হাজার ২০৫ ভোট, মোমবাতি প্রতীকে বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মুহাম্মদ আবদুস সামাদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৮৭ ভোট, চেয়ার প্রতীকে পেয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের সৈয়দ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আম প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৮৬০ ভোট, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির কামাল পাশা পেয়েছেন ৬৭৩ ভোট এবং একতার প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী রমজান আলী পেয়েছেন ৪৮০ ভোট। ফলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ ছাড়া বাকি চার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ছাড়া বাকি চার প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে জামানত হিসেবে জমা করা ২৫ হাজার টাকাও তারা ফেরত পাবেন না।
এর আগে চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ১৯০টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৪১৪টি কক্ষে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। ভোট গণনা শেষে রাতেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
বিএনপি ও জাতীয় পার্টির মতো প্রতিষ্ঠিত কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় শুরু থেকেই কোনো উত্তাপ ছিল না। ঘটেনি কোনো বিরূপ ঘটনাও । বিজয় নিশ্চিত জেনেও ভোটারদের কাছে যাননি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নোমান আল মাহমুদ। অন্য প্রার্থীদের গণসংযোগও তেমন দেখা যায়নি।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছালেম উদ্দিন আহমদ গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। এরপর সংসদ সচিবালয় আসনটি শূন্য ঘোষণা করে। পরে শূন্যপদ ঘোষণার গেজেট ইসির কাছে এলে কমিশন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করে।
২০১৯ সালে এর আগেও একবার এই আসনটি শূন্য হয়েছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা মঈন উদ্দিন খান বাদল মহাজোটের শরিক হিসেবে ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৭নভেম্বর, ২০১৯-এ ইন্তেকাল করেন। পরবর্তীতে ১৩ জানুয়ারী ২০২০ -এর উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে এসেছিলেন মোছালেম উদ্দিন আহমেদ।