সেলফি তোলা নিয়ে সংঘর্ষ, এরপর পাঁচ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নে সেলফি তোলাকে কেন্দ্র করে কিশোরদের মধ্যে মারামারির জের ধরে দুই পক্ষের পাঁচ গ্রামবাসীর মধ্যে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত তিনজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া আহত ১৫ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে আলগী ইউনিয়নের কুমার নাদেরের সুলিনা ব্রিজে সেলফি তুলছিলেন নওড়া গ্রামের কয়েকজন কিশোর। এ সময় একই ইউনিয়নের গুণপালদী গ্রামের এক কিশোরের মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় দুই গ্রামের কিশোরদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। কিছুক্ষণ পর গুণপালদী গ্রামের কয়েকজন কিশোর সুলিনা বাজারে গেলে নওড়া গ্রামের কিশোররা তাদের মারধর করে। এরপর স্থানীয়রা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে একদিকে গুনপালদী গ্রাম এবং অপর পাশে নওড়া, এপারপট্টি, শুয়াদি, চন্দ্রা গ্রামের লোকজন অংশ নেয়। ঢাল, সরদাকি, রামদা, পাথরসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে আহত ১৮ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুনাপালদী গ্রামের মাজেদ মোল্লার ছেলে ওবায়দুল মোল্লা (৪৬), এপারপট্টি গ্রামের আবদুর রহমান মাতুব্বরের ছেলে আসাদ মাতুব্বর (২২) এবং নাওড়া গ্রামের হাসেম মাতুব্বরের ছেলে আজিজুল মাতুব্বরনকে (৪৫) ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। কলেজ হাসপাতাল। বর্তমানে আহত ১৫ জন বঙ্গ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।