বড় নিষ্ঠুর কায়দায় অত্যাচার করা হয় কিশোরের উপরঃ থানায় অভিযোগ
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে সোহান (১৫) নামে এক কিশোরকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোর কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরীর মামা আনিছার রহমান (৪৫) বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে গত রোববার (২ এপ্রিল) উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের বাঙ্গেরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার সোহান ভোটমারী উপজেলার উত্তর জামির বাড়ি এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে ।
জানা গেছে, গত রোববার দুপুরে কিশোর সোহান রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে পায়ে আঘাত পান। পরে তিনি একটি টিউবিউল সকেট খুঁজে পান। ওই সকেট নিয়ে তিনি চলে গেলে স্থানীয় কয়েকজন তাকে চোর ভেবে মারধর শুরু করে। পরে তাকে একটি মাছ ধরার প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে একটি প্লাস দিয়ে শরীরের চামড়া টানা হয়। পরে তার হাঁটুর নিচে বাঁশের দড়ি দিয়ে বেঁধে বর্বর কায়দায় প্রকাশ্যে মৎস্য প্রকল্পে নির্যাতন করা হয়। অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে কিশোর। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে কিশোর সোহান জানান, তারা আমাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রড দিয়ে আঘাত করে, প্লাস দিয়ে চামড়া টেনে পায়ের নিচে বাঁশের লাঠি বেঁধে রাখে। এমনকি আমাকে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। আমি তাদের চিনি না তবে আমি তাদের দেখলেই চিনতে পারব।
কিশোরের মামা আনিছার রহমান বলেন, আমার ছোট ভাগ্নেকে রাস্তায় সকেট হাতে দেখতে পেয়ে তাকে চোর সন্দেহে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়।এলাকার ওহাব, তাপস ও রানা তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে। এমনকি ভোটমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহাদুল ইসলামকেও নির্যাতন করেছে।আমি থানায় অভিযোগ করেছি এবং তাদের শাস্তি চাই।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম গোলাম রসুল অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে একজন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। ফেসবুকে বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্তরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি ।