ওজু করতে গিয়ে লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়া যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার
“কোন কোন বিষয়ে কষ্ট হলেও উল্লেখ করতে হয় ভবিষ্যৎ মানুষের সচেতনতার জন্য। আমরা চলাফেরার সময় আল্লাহর উপর ভরসা করে শতভাগ সচেতন থাকবো। আল্লাহ যেন আমাদের উপর কোনরূপ বিপদ না দেন।”
আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে আবেদন করছি আল্লাহ যেন উক্ত নামাজী ব্যক্তির শাহাদাত কবুল করেন।
ঢাকা-রাঙ্গাবালী নৌ-রুটে লঞ্চ থেকে পড়ে যাওয়ার দুই দিন পর নদীতে ভাসমান অবস্থায় যাত্রী সাইফুল বিশ্বাসের (২৬) মৃতদেহ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ। রোববার বেলা ১১টার দিকে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আউলিয়াপুর সংলগ্ন তেতুলিয়া নদী থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।
দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান ও নৌ-পুলিশের ইনচার্জ মো. সুরুজ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তারা বলেন, রোববার সকালে তেঁতুলিয়া নদীর চঙ্গারচর নামক এলাকায় জেলেরা একটি মৃতদেহ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের একটি দল মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
পরে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি নিখোঁজ সাইফুলের পরিবারের শনাক্ত করেছেন।
পুলিশ জানায়, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিখোঁজ সাইফুলের বাড়ি রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের হানিফ বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
উল্লেখ্য, ঢাকায় তরমুজ বিক্রি করে বৃহস্পতিবার রাতে সাইফুল তার বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে ঢাকা-রাঙ্গাবালী নৌ-রুটের পূবালী-৫ নামের লঞ্চযোগে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে বীজ ভাণ্ডার সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদী অতিক্রমকালে ফজরের নামাজের জন্য লঞ্চের পেছনের দিকে ওজু করতে গিয়ে নদীতে পড়ে যান সাইফুল।