November 21, 2024
মুরগির ‘পা’ এর কেজি ১৪০ টাকা

মুরগির ‘পা’ এর কেজি ১৪০ টাকা

মুরগির ‘পা’ এর কেজি ১৪০ টাকা

মুরগির ‘পা’ এর  কেজি ১৪০ টাকা

মুরগির মাংসের দাম বাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মধ্যবিত্ত  এক ক্রেতা বলেন, ‘আগে ১৪০ টাকা কেজিতে মুরগি পাওয়া যাইতো, সেই দামে এখন মুরগির হাবিজাবি কিনতে হচ্ছে। বাসায় বাচ্চাদের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে নিরূপায় হয়ে এসব কিনতে হচ্ছে। আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নাই  এদেশে!’

বাজারে আরেক ধাপ বেড়েছে মাছ-মাংসের দাম। শবেবরাতকে উপলক্ষ করে বৃদ্ধি পেয়েছে এই দাম। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেছেন, পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ায় তারাও দাম বাড়িয়েছেন। ক্রেতারা বলছেন, যেকোনো উপলক্ষে দাম বাড়ানোটা দেশে একটি রীতি হয়ে উঠেছে! দাম বাড়ায় নিম্নআয়ের মানুষ আলাদা করে বিক্রির জন্য রাখা মুরগির ডানা ও পা কেনার দিকে ঝুঁকছে। সেগুলোও প্রতি কেজির দাম ১৪০ টাকা।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাছ ও মাংসের দাম কেজি প্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া কাঁচাবাজারে গরমে চাহিদা রয়েছে এমন সব সবজির দামও বেড়েছে। অন্যদিকে সব কিছুর দাম বাড়ায় ছুটির দিনে ক্রেতার সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম। বাজারে বর্তমানে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০০ থেকে ৭১০ টাকা। এছাড়া খাসির দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকায়। গত সপ্তাহে যা ১১০০ টাকায় বিক্রি হতো।

মুরগির দাম গত এক মাস ধরে ঊর্ধ্বমুখী, এখন তা সর্বোচ্চ দামে পৌঁছেছে। সাদা ব্রয়লার এখন ২৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা, লাল লেয়ার ২৯০ টাকা, পাকিস্তানি কক ৩৫০ টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় যা ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে।

বাজারে মাছের সংখ্যা কমেছে। অধিকাংশ দোকানিকে পাঙাশ, তেলাপিয়া ও রুই মাছ বিক্রি করতে দেখা যায়। এ বিষয়ে দোকানিরা জানান, ক্রেতার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে পড়ে না এমন মাছ উঠালে অবিক্রিত রয়ে যায়। তবে সেই মাছেরও দাম বেড়েছে। বাজারে পাঙাশ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৬০ থেকে বেড়ে ১৭০ টাকা হয়েছে, রুই (নলা) ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকারের রুই ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ২৮০ টাকা। এছাড়া পুঁটি ২৪০ টাকা ও সিলভার কার্প ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, সবজির বাজার কিছুটা স্থির থাকলেও লেবুসহ সালাদ উপাদানের দাম নাগালের বাইরে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X