চড়-থাপ্পড়ের প্রতিশোধঃ ছুরিকাঘাতে হত্যা
ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে মো. শাওন নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ঘাতক নাবিলকে গ্রেফতার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
রবিবার দিবাগত রাতে রাজধানী যাত্রাবাড়ীর মিরহাজীরবাগ এলাকায় একটি গলিতে বসে মোবাইল ফোন চালাচ্ছিলেন শাওন (২৮) । এমন সময় দুই যুবক এসে শাওনের আশপাশে হাঁটাহাঁটি শুরু করেন। এর কিছুক্ষণ পর হঠাৎ পকেট থেকে সুইচ গিয়ার বের করে শাওনের বুকে সরাসরি আঘাত করেন নাবিল নামের এক যুবক। পরে সেখান থেকে শাওনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শাওনকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেজ সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি গত রবিবার দিবাগত রাত ২টা ৪১ মিনিটের দিকে। মিরহাজীরবাগ আবু হাজী স্কুলের গলি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শাওনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘাতক নাবিলকে গ্রেফতার করে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ।
ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নিহত শাওন ও ঘাতক নাবিল দুজনই মাদক কারবারি ও মাদকসেবী। তারা দীর্ঘদিন ধরে যাত্রাবাড়ী এলাকায় মাদক কারবার করে আসছিল। মাদক নিয়ে ঝামেলার কারণে কিছুদিন আগে নাবিলকে চড়-থাপ্পড় মারেন শাওন। এর প্রতিশোধ নিতে শাওনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন নাবিল। পরিকল্পনা মোতাবেক শাওনকে একা পেয়ে নাবিল সুইচ গিয়ার দিয়ে শাওনকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনার পরদিন (সোমবার) সকালেই আসামি নাবিল কক্সবাজার পালিয়ে যায়। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার উদ্ধার করা হয়। শাওন হত্যার ঘটনায় এরই মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন নাবিল।