কলেজছাত্রকে মাদক দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে, গণপিটুনি খেল ডিবি সদস্যরা
নারায়ণগঞ্জ, ফতুল্লায় কলেজছাত্রের পকেটে মাদক ঢুকিয়ে আটক করতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়েছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর সদস্য। এসময় ডিবি পুলিশদের বহনকারী কালো রঙয়ের মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ফতুল্লার পাগলার নিশ্চিন্তাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলের আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশের সোর্স পেচা রনি পাগলা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তিনি নিশ্চিন্তাপুর এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসায়ী শাহজাহানের ছেলে কলেজছাত্র সজিবের পকেটে মাদক দিয়ে টানা-হেঁচড়া করতে থাকেন। এ সময় একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে কয়েকজন সাদা পোশাকের লোক আসেন। তখন পেচা রনি ওই মাইক্রোবাসে সজিবকে ওঠানোর চেষ্টা করেন। সজিব চিৎকার করলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে মাইক্রোবাসটি আটকে সজিবকে গাড়িতে তোলার কারণ জানতে চান। তখন মাইক্রোবাসে চড়ে আসা সাদা পোশাকধারীরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন।
এ সময় পুলিশের গাড়িতে সজিবকে কেন ওঠানো হলো–এলাকাবাসীর এই প্রশ্ন নিয়ে ডিবি পুলিশের সঙ্গে তর্ক হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত এলাকাবাসী গাড়িটির চারপাশের জানালার কাচ ভাঙচুর করে তাদের মারধর করতে থাকেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও অতিরিক্ত ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর শাহজাহান ও তার ছেলে সজিবকে আটক করা হয়।
আটক শাহজাহানের স্ত্রী ফিরোজা বেগম জানান, সজিব স্থানীয় হাজি মিছির আলী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বেশ কিছুদিন আগে পেচা রনির আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ফুটবল খেলা নিয়ে সজিবের দ্বন্দ্ব হয়। সেই বিরোধের জেরে রনি সজিবের পকেটে মাদক ঢুকিয়ে অভিযুক্ত করেন। এ সময় এলাকাবাসী রনিকে আটক করার চেষ্টা করেন। তখন তার সঙ্গে ডিবি পুলিশ ছিল বিষয়টি এলাকাবাসী জানতেন না।
ডিবি পুলিশের ওসি মামুন উর রশিদ বলেন, উপ-পরিদর্শক আতিক মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী তাকে মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে আমি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি ও মাদকসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
পকেটে মাদকসহ এক কলেজছাত্রকে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি মামুন উর রশিদ বলেন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি কলেজছাত্র নয়। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে ভুল তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
1 Comment