অনেকদিন যাবৎ মংলায় ডুবে থাকা লাইটার জাহাজ এখনো উদ্ধার হয়নি
মংলা বন্দরের পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া সার লাইটার জাহাজটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ২৫ জানুয়ারি রাতে ‘শাহজালাল এক্সপ্রেস’ নামের লাইটার জাহাজটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী জাহাজ উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহাজটি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেয় মালিকপক্ষ। ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজের মালিক আজাহার সিদ্দিক জানান, নির্ধারিত সময়ের ১১ দিন পর মঙ্গলবার থেকে মংলা ও খুলনার ডুবুরি দলগুলোকে ডুবন্ত জাহাজে লাইটার জাহাজ ও সার উদ্ধারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথমে জাহাজ থেকে সার সরানোর চেষ্টা করলে কোনো সার পাওয়া যায়নি। নদীতে পানিতে মিশে গেছে ৫০০ টন গোটা সার।
তিনি আরো জানান, লাইটার জাহাজটি উদ্ধারে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম থেকে একটি বিশেষ ধরনের নৌকা (ফ্ল্যাট বোট) রওনা হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী ২০ দিনের মধ্যে তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।
২৫ জানুয়ারি মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া-৯ এ অবস্থানরত লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ‘এমভি ভিটা অলিম্পিক’ থেকে সার বোঝাই লাইটার জাহাজ শাহজালাল এক্সপ্রেস যশোরের নওয়াপাড়ায় আসছিল। পথিমধ্যে হারবাড়িয়া-৮ নামক স্থানে ক্লিঙ্কারসহ অবস্থানরত ‘সুপ্রিম ভ্যালর’ নামের একটি বিদেশি জাহাজ বাঁক নেওয়ার সময় সেটিকে ধাক্কা দিলে শাহজালাল এক্সপ্রেস লাইটার জাহাজের ইঞ্জিন রুমে পানি ঢুকে ডুবে যায়। এ সময় লাইটারে থাকা ৯ নাবিককে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটি উদ্ধারের জন্য মালিককে ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়।
নদীর পানিতে সার মেশানোর বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন। সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, এতে জলজ সম্পদের মারাত্মক ক্ষতির পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী সুন্দরবনের পরিবেশ নষ্ট হবে।