৫০ টি প্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল
“কেউবা হাসে কেউবা কাঁদে; এইতো লীলাখেলা,
প্রমোদ-তরী ভাসায় কেহ; কেউবা পায়না ভেলা । “
সদ্য ফল প্রকাশিত, ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় ৫০টি প্রতিষ্ঠানের একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি। এর মধ্যে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে সবচেয়ে বেশি ফেল করা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৩টি। এছাড়া রাজশাহীতে ৯টি, ঢাকায় ৮টি, যশোরে ৬টি, কুমিল্লায় ৫টি এবং ময়মনসিংহে ৩টি প্রতিষ্ঠানে সবাই ফেল করেছেন। আর চারটি মাদরাসা ও দুইটি টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ফেল করেছেন।
গত বছর একজনও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫। কমেছে শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও। ২০২১ সালে ১ হাজার ৯৩৪ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করলেও এবার শতভাগ পাস করেছে ১ হাজার ৩৩০টি প্রতিষ্ঠানে।
আজ দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মো. মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডে মোট পাস শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৮৭। পাসের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ জন।
শূন্য পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়ার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, গত বছর মাত্র তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছিল সংক্ষিপ্তভাবে। তখন বেশির ভাগই ভালো করেছিলেন। সে জন্য পাসের হারও ছিল প্রায় ৯৫ শতাংশ। এবার ১২টি পত্রে পরীক্ষা হয়েছে, তাতে সবাই তত ভালো করতে পারেননি। সে জন্য শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়াও শূন্য পাস করা অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত নয়। অল্প কয়েকটি এমপিওভুক্ত। তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তথ্য চাওয়া হয়েছিল। তারা পাঠিয়েছে। এখন মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে কর্মশালা করা হবে। সেখানে অভিজ্ঞ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের রাখা হবে, অভিজ্ঞতা জানানোর জন্য।
এদিকে ২০২২ সালে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। মেয়েদের পাসের হার ৮৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৫ হাজার ৭২১ জন। আর ছেলেদের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮০ হাজার ৫৬১ জন।