সরকারি খাদ্য গুদামে খাদ্যের পরিবর্তে বালির বস্তা
চুয়াডাঙ্গায় গম খালাসের সময় সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের পরিবহন ঠিকাদারের গাড়িতে গমের পরিবর্তে ২৮ বস্তা ভর্তি বালু ও ৬টি বড় পাথর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ট্রাক চালকসহ ১৪ জনকে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কেএম শহীদুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার সকালে খাদ্য পরিবহন ঠিকাদার সরকার এন্টারপ্রাইজ, জোনাকি পরিবহন ও সানরাইজ জুট ট্রেডার্স খুলনার ৪ নম্বর ঘাট থেকে সাড়ে ১৬ মেট্রিক টন ওজনের প্রায় ১০০ মেট্রিক টন গমের চালান পাঠায়। উচ্ছেদের সময় ২৮ বস্তা বালু ও ৬ বস্তা। ট্রাক থেকে গমের বস্তার বদলে বড় বড় পাথর উদ্ধার করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কে.এম.শহিদুল হক বলেন, এদিন ভোর রাতে ৬টি ট্রাক আমদানী করা গম নিয়ে খুলনার রূপসা ৪ নম্বর ঘাট থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে আসে। সকাল ৯টায় ট্রাক থেকে গম খালাস করার সময় গমের সাথে বের হতে থাকে বালির বস্তা ও পাথর।
চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি বিদেশ থেকে আমদানি করা গমের চালান চুয়াডাঙ্গা খাদ্য গুদামে আসতে শুরু করে।
এ ঘটনার পর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আলমডাঙ্গা উপজেলা খাদ্য গুদামের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হামিদ, সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম ও কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক নাসরীন বানুকে নিয়ে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা কে এম শহীদুল হক।