November 24, 2024
নান্দনিক সৌন্দর্যের প্রতীক; কুমিল্লার ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’

নান্দনিক সৌন্দর্যের প্রতীক; কুমিল্লার ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’

নান্দনিক সৌন্দর্যের প্রতীক; কুমিল্লার 'সাত গম্বুজ মসজিদ’

নান্দনিক সৌন্দর্যের প্রতীক; কুমিল্লার ‘সাত গম্বুজ মসজিদ’

গুনাইঘর সাত গম্বুজ মসজিদটি কুমিল্লার দেবিদ্বারের গুনাইঘর গ্রামের ঐতিহ্যের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। এর স্বতন্ত্র স্থাপত্যশৈলী এবং নান্দনিকতার জন্য মসজিদটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় জমায়। আপনিও ঘুরে আসতে পারেন।

জানা যায়, ২০০২ সালে শুরু হওয়া মসজিদটির নির্মাণ কাজ ২০০৫ সালে শেষ হয়। এতে চারটি মিনার ও সাতটি গম্বুজ রয়েছে। মসজিদটি ৪৮ ফুট লম্বা এবং ৩৬ ফুট চওড়া। চার কোণায় সাতটি গম্বুজ এবং চারটি মিনার রয়েছে, প্রতিটি মিনার ৮০ ফুট উঁচু। মসজিদ নির্মাণে ইট, বালি, সিমেন্টের পাশাপাশি চীনামাটির বাসন ও স্টাইল ব্যবহার করা হয়েছে।রয়েছে বিভিন্ন রঙের বৈদ্যুতিক বাতির আলোর সজ্জা ।

সাত গম্বুজ বিশিষ্ট এই আকর্ষণীয় মসজিদে একসঙ্গে শত শত মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের গায়ে পবিত্র কোরআন, সূরা আর-রহমান, আয়াতুল কুরসিসহ বিভিন্ন দোয়া লেখা রয়েছে। অসংখ্য ক্যালিগ্রাফিতে আঁকা মসজিদটির একটি ব্যতিক্রমী স্থাপত্য শৈলীতে  নির্মিত যার সাথে পুরানো এবং নতুন শৈলীর সংমিশ্রণ রয়েছে, মসজিদটিতে বাংলা ভাষায় আটটি ক্যালিগ্রাফি আছে।  এছাড়া  আছে আরবি ভাষায় লেখা ইসলামের চারটি কালেমা ।

মসজিদটি মুঘল, তুর্কি এবং ফার্সি শৈলীর সংমিশ্রণে তৈরি করা হয়েছে। এর সৌন্দর্য বাড়াতে ৩৫০ পিস চীনামাটির এবং ২৫০ পিস কাঁচ ব্যবহার করা হয়েছে।

মসজিদটি নির্মাণে প্রায় একশ শ্রমিকের আড়াই বছর সময় লেগেছে। এর নির্মাণ ব্যয় হয়েছে এক কোটি ৬০ লাখ টাকা।

কারু-কার্জ খচিত নান্দনিক  এই মসজিদটি দেখতে প্রতিদিনই পর্যটকদের ঢল নামে।

নির্মাণশৈলীও মুন্সিয়ানা এই মসজিদটিকে আধুনিক সময়ের অন্যান্য কাঠামো থেকে আলাদা করেছে।

দৃষ্টিনন্দন ব্যতিক্রমী এই মসজিদটির নির্মাণকাজ ফার্সি ও গ্রীক স্থাপত্যের ওপর ভিত্তি করে। নির্মাণশৈলীর দিক থেকে এই মসজিদটি বাংলাদেশের কয়েকটি মসজিদের মধ্যে একটি।

2 Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X