১২৭ বছর বয়সঃ এখনও নিজে হেঁটে মসজিদে যান
মোখলেছুর রহমান; কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মনপাল গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দাবি করেন যে তার বয়স ১২৭ বছর। ১৩১৮ বাংলায় তাঁর বয়স হয়েছিল ১৫ বছর। গ্রামে তার সমসাময়িক কেউ বেঁচে নেই। তার বন্ধু-সহপাঠীরা ৪৫/৫০ বছর আগে মারা গেছে। দিনমজুর হিসেবে ও রিকশা চালিয়ে জীবন নির্বাহ কারী মোখলেছুর রহমানের কোনো লেখাপড়া নেই। তিনি এখনও মসজিদে হেঁটে যান।
বাড়ির পাশের দোকানে গিয়ে চায়ের কাপে রুটি ডুবিয়ে মুখে নিল। কিন্তু চোখের আলো কমে গেছে। সবকিছু ঝাপসা দেখায়। তার বাড়িতে যান এবং আপনি একটি মাচা মত একটি ঘর দেখতে পারেন. সেখানে তিনি একা থাকেন। পাশের বেড়া ভাঙা। সেখানে পৌষের শীতল বাতাসের অবাধ বিচরণ। তার স্মৃতিশক্তি প্রখর।
তিনি ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ঘটনা মুখস্থ করেছিলেন। তার শরীরের ভাঁজ মোটা চামড়া তিন শতাব্দীর ইতিহাস ধারণ করে। ছোটবেলার শিক্ষা বইয়ে রানির ছবি দেখেছি। মাথায় মুকুট। সেদিনই তিনি ব্রিটিশদের রানী হয়েছিলেন। তিনি সম্ভবত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে (১৯৫২- ২০২২) উল্লেখ করেছেন।
মোখলেছুর রহমান বলেন, কাজ করেছি। খেয়েছি আমি ছেলে মেয়েদের খাইয়েছি। টাকা দিয়ে জমি কিনিনি। আমি এখন খেতে পারছি না। এক সময় আধা কেজি থেকে পৌনে এক কেজি চালের ভাত খেয়েছি।
আশেপাশের বিশটি গ্রামে আমার চেয়ে বড় কোনো মানুষ নেই। তার বাবা আকর উদ্দিন ৭৫ বছর বয়সে এবং মা জোবেদা খাতুন ১৫০ বছর বয়সে মারা যান। কয়েক বছর আগে তার স্ত্রী রহিমা খাতুন ৭৫ বছর বয়সে মারা যান। তিন ছেলে ও তিন মেয়ে টাড়। দুই ছেলে মারা যান। যারা আছেন তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। তাই তার প্রয়োজনীয় খাবার, ওষুধ ও কাপড় পাওয়া যাচ্ছে না। তার একটি বার্ধক্য ভাতার কার্ড রয়েছে। তিনি তিন মাসে ১৫০০ টাকা পান। তিনি আরও কিছু সমর্থন পেলে উপকৃত হবেন বলে উল্লেখ করেন। ।