হঠাৎ জাতিসঙ্ঘ প্রতিনিধিদল বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায়
এক দশক ধরে নিখোঁজ বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলামের রাজধানীর শাহীনবাগের বাসায় জাতিসঙ্ঘের ঢাকা কার্যালয়ের মানবাধিকারবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হুমা খান ও মানবাধিকারবিষয়ক উপদেষ্টা জাহিদ হোসেন তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করে কথা বলেছেন। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নিখোঁজ সাজেদুলের বাসায় যান।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে জাতিসঙ্ঘের এ প্রতিনিধিদল তাদের সাথে দেখা করেন।
সাজেদুলের বোন সানজিদা ইসলাম বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাসায় আসার কারণে কী ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কতোটা চাপ এসেছে ও কোনো ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন কি না, এসব বিষয়ে খোঁজ নিতেই জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল এসেছিল। তাছাড়া জাতিসঙ্ঘ সবসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোচ্চার থাকে। এ ধরনের ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের পরিবার কী অবস্থায় আছে, প্রতিনিধিদলের সদস্যরা সে খোঁজও নিয়েছেন।
সাজেদুল ইসলাম ২০১৩ সালে নিখোঁজ হন। তার পরিবারের দাবি, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে গেছেন। তার বোন সানজিদা গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের নিয়ে গঠিত সংগঠন `মায়ের ডাক`-এর সমন্বয়কারী।
সানজিদা অভিযোগ করেন, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যখন কেউ কথা বলতে চান, সরকারের পক্ষ থেকে উল্টো তথ্য দেয়া হয়। তাদের কোণঠাসা করা হয়।
পিটার হাস বাসায় আসার পর তাদের ওপর সরকারের পক্ষ থেকে অনেক বেশি চাপ এসেছে। বাসায় একবার পুলিশও এসেছিল। এ অবস্থা থেকে কীভাবে কাজ করা যায়, করণীয় কী হতে পারে, এসব বিষয় নিয়ে জাতিসঙ্ঘে প্রতিনিধিদলের সাথে কথা হয়েছে।
১৪ ডিসেম্বর পিটার হাস বিএনপির নিখোঁজ নেতা সাজেদুলের বাসা থেকে বেরিয়ে আসার সময় বাইরে একদল লোক তাকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন। তিনি নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
পরে মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র জানান, নিরাপত্তার শঙ্কায় পিটার হাস বৈঠক শেষ না করেই সাজেদুলের বাসা ত্যাগ করেন। তারা সরকারের উচ্চপর্যায়ে অবহিত করেছেন।