ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে স্কুলছাত্রী শিশু পরশমণিকে
নেত্রকোনার মদনে স্কুলছাত্রী পরশমণি (৯) হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। শিশুটিকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে গলাটিপে হত্যা করা হয়।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নেত্রকোনা পিবিআই এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়।
নিহত পরশমণি জেলার মদনের কদমশ্রী গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে এবং কদমশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী।
নেত্রকোনা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর কবির তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল পরশমণি তার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ির সামনে খেলছিলেন। এ সময় প্রতিবেশী জোবায়ের রহমান (২৩) শিশুটিকে প্রলোভন দিয়ে পাশের একটি ঝোপে নিয়ে যায়।
সেখানে তারা তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটি চিৎকার শুরু করলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে রাতে জোবায়ের ও পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে খোঁজার ভান করে।
রাত ১২টার দিকে শিশুটির লাশ পাশের একটি ব্যাংকে ফেলে যান সে। পরদিন পরশমণির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। সেখান থেকে এক বছর পর মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় এবং ২০২০ সালের নভেম্বরে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
পিবিআই, নেত্রেকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর কবির জানান, বাদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর মামলার তদন্তভার নেত্রেকোনা পিবিআইকে দেন। পরে পিবিআই পরিদর্শক মো. নুরুল ইসলাম খান মামলাটি তদন্ত করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেন।
গত শনিবার সন্ধ্যায় নেত্রকোনা শহরের সাতপাই এলাকা থেকে আসামি জোবায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে রোববার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।