ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে ঘিরে তোলপাড়ের পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তা চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে টেলিফোনে আলাপকালে মার্কিন উপ-রাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান; শাহরিয়ার আলমের কাছে এ অনুরোধ করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এ ফোনালাপের বিষয়ে এক বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ড. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে আজ ফোনে কথা বলেছেন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শারমন। তারা ইউএস-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদার করা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের গুরুত্ব এবং মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেন।
এ আগে পিটার হাস ১৪ ডিসেম্বর সকালে রাজধানীর শাহীনবাগে বিএনপির নিখোঁজ নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় যান। সাজেদুলের বোন গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক। রাষ্ট্রদূত যখন সাজেদুল ইসলামের বাসায় গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন ওই বাড়ির সামনে জড়ো হন ‘মায়ের কান্না’ নামের আরেকটি সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর সেনা ও বিমানবাহিনীর যেসব সদস্যের ফাঁসি, কারাদণ্ড ও চাকরি চলে গিয়েছিল, তাঁদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের কান্না’।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাতে ওই ফোনালাপের বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম টেলিফোনে মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শারম্যানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পারস্পরিক অগ্রাধিকারের বিষয়ে আলোচনা করেন। অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে তাঁরা কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা সনদের বিষয়ে পারস্পরিক অঙ্গীকারের বিষয়ে আলোচনা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শাহরিয়ার আলম এটা নিশ্চিত করেছেন, বাংলাদেশে কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি টেলিফোনে মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন, রাষ্ট্রদূতেরা বরাবরের মতো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পেতে থাকবেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূতদের জনসমক্ষে বিবৃতি দেওয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে।