যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশ সরকারকে সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে। মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তুলে ধরেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশি হয়রানি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের যেভাবে গ্রেফতার করছে তা খুবই উদ্বেগজনক। তার বিবৃতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত হয়েছে।
নেড প্রাইস বলেন, “আমরা বাংলাদেশ সরকারকে বাকস্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মৌলিক অধিকার রক্ষা ও সম্মান করার আহ্বান জানাই।” আমরা পুলিশি হয়রানি, বিরোধী দলের সদস্যদের গ্রেফতার এবং তাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে দমন-পীড়নের খবর নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা বাংলাদেশের সকল দলকে আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। কোনো দল বা প্রার্থী যেন অন্য দল বা প্রার্থীর বিরুদ্ধে হুমকি, উস্কানি বা সহিংসতা সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে আমি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, প্রকৃত নির্বাচনের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ যে সকল প্রার্থী সহিংসতা, হয়রানি ও ভয়ভীতি ছাড়াই ভোটারদের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন। আমরা বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষকে এই ধরনের সহিংসতার রিপোর্ট স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে উৎসাহিত করি।
ওই ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথাও উঠে আসে। পিনাকী ভট্টাচার্য ও সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবগত রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন নেড প্রাইস।
তিনি বলেন, এই আইন নিয়ে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। আমরা আমাদের মানবাধিকার প্রতিবেদনেও বিষয়টি উল্লেখ করেছি। আমরা আমাদের বাংলাদেশী অংশীদারদের সাথে এই বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছি। মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে অপরাধী করা যাবে না। এটা কখনই ভীতি ও হুমকির উপলক্ষ হতে পারে না।