পাশের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বছর মোট ২৯ হাজার ৬৩৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে দু’হাজার ৯৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থী পাস করেছে। গতবছর পাঁচ হাজার ৪৯৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছিল। অর্থাৎ এ বছর শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে দু’হাজার ৫১৯টি।
অন্যদিকে ৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী এবার পাস করতে পারেনি। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ১৮। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রেও গতবারের চেয়ে এবারে ফল খারাপ হয়েছে।
করোনার অভিঘাতে নির্দিষ্ট সময়ের বহু পরে অনুষ্ঠিত এবারের এসএসসিতে গত বছরের চেয়ে পাশের হার কমেছে। তবে বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা।
এ বছর ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছে, যা উত্তীর্ণের মোট সংখ্যার ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
গত বারের তুলনায় জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৮৬ হাজার ২৬২ জন। গতবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন।
এবার পাশ করেছে ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ পরীক্ষার্থী। পাশের হার কমেছে গত বারের চেয়ে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। গতবার পাশ করেছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ১০। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ। শিক্ষা বোর্ডগুলোর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সকালে তার কার্যালয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন। পরে দুপুর ১টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলন করে এবারের ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ১০। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ। শিক্ষা বোর্ডগুলোর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হলো।