September 20, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
বাংলাদেশে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করতে হবেঃ বেহাল রিজার্ভের অবস্থা

বাংলাদেশে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করতে হবেঃ বেহাল রিজার্ভের অবস্থা

বাংলাদেশে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করতে হবেঃ বেহাল রিজার্ভের অবস্থা

 

বাংলাদেশে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করতে হবেঃ বেহাল রিজার্ভের অবস্থা

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, রিজার্ভের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যতে কী হবে তা আমরা জানি না। এখন মিতব্যয়ী হওয়া ছাড়া উপায় নেই। প্রয়োজনে দিনের বেলায় বিদ্যুতের ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত ‘শিল্পে জ্বালানি সংকটের সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমরা এখন এলএনজি আনছি না। এ সময়ে ২৫ ডলারের হিসেব নিয়েও এলএনজি আমদানি করতে গেলে চাহিদা মেটাতে অন্তত ছয় মাস লাগবে। কেনার মতো অবস্থা আছে কিনা সন্দেহ। কিন্তু আমি কয়েকটি জায়গা থেকে খুব কম দামে এলএনজি কেনার অফার পেয়েছি। ১০ বা ১২ ইউএসডি প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি। তারা কিভাবে দেবে জানি না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কখন শেষ হবে সে সম্পর্কে আমাদের ধারণা হয়ে গেলে আমরা কিছু সিদ্ধান্ত নিতাম। ভোলায় কিছু গ্যাস আছে, সিএনজিতে কনভার্ট করে নিয়ে আসব। ৮০ এম এম সি  গ্যাস আছে। দুই-তিন মাসের মধ্যে আনার চেষ্টা করব। অন্যদিকে আমরা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে এগুচ্ছি। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে কয়লাভিত্তিক এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। সোলার প্যানেলের মাধ্যমে আরও এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। তাহলে সমস্যার সমাধান হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা যদি এখন গ্যাস বাঁচাতে চাই, তাহলে লোডশেডিং বাড়বে, তখন সবাই সমালোচনা করবে। কিন্তু একসময় সর্বত্র বিদ্যুৎ ছিল না। বর্তমান সংকটে আমরা চাইলে এসি বন্ধ রাখতে পারি। বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারে। সারা দেশে যে পরিমাণ এসি চলে তার চাহিদা পাঁচ থেকে ছয় হাজার মেগাওয়াট। ফলস্বরূপ, আমরা এই সময়ে এসি বন্ধ রাখব বা কম চালাব। এতে দুই থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। গ্যাস সাশ্রয় হবে। লোড কমাতে সবাই রাজি হলে কিছুটা গ্যাস বাঁচবে। তিনি বলেন, কৃষি ও শিল্পে আরও বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অন্যরা বিদ্যুত খরচ কমিয়ে দেবে। আমরা শপথ নেব, প্রয়োজনে দিনের বেলায় কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহার করব না। শিল্পে বিদ্যুৎ দিলে আবাসিক এলাকায় সরবরাহ কমাতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা ভালো কিছু দেশ থেকে অর্থায়ন চাইব। এখন আমি জানি না আমরা এই বিষয়ে কতদূর সমর্থন পাব, তবে আমরা খুব তাড়াতাড়ি চেষ্টা শুরু করব।

বৈঠকে এফবিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারখানা চালু করলে অনেক বুদ্ধিজীবী এর বিরোধিতা করেন। তখন কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, বাংলাদেশের জিডিপি ঊর্ধ্বমুখী ছিল। চলমান এই জ্বালানি সংকটে প্রধানমন্ত্রীকে আবারও এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিটিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন সহ অনেকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X