মহাবিপদ সংকেত পর্যন্ত যেতে পারে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রীঃ কক্সবাজারে সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল, ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত:
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আজ সন্ধ্যায় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
সোমবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হয়েছে। আবহাওয়াবিদের তথ্য অনুযায়ী, আজ সন্ধ্যায় এটি আঘাত হানবে। আগামীকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে।
এদিকে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর দুর্যোগ সংকেত চলছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব সরকারি কর্মকর্তার ছুটি বাতিলের পাশাপাশি বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ৯টি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় হিসেবে সিত্রং, ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত
সমুদ্র সৈকত ভ্রমণের জন্য সতর্কতা এবং সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা। এখন অনেক পর্যটক আটকা পড়েছে
সোমবার সকাল থেকে কক্সবাজারে মেঘলা আকাশ ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাগরের জোয়ার বেড়েছে দুই থেকে তিন ফুট। ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফ গার্ড এবং সৈকত কর্মীরা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে পর্যটকদের নিরাপদ দূরত্ব থেকে সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণের জন্য সতর্ক করছে। পর্যটকদের সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নিরুৎসাহিত করা হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ জানান, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব সরকারি কর্মকর্তার ছুটি বাতিলের পাশাপাশি বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ৯টি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) মো. জাহিদ ইকবাল জানান, দুর্যোগের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে জেলায় ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে আশ্রয় নিতে পারে ৬ লাখ ৫ হাজার ২৭৫ জন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৯টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ১০৪ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও পানীয় জলও মজুত রয়েছে।
ঝড়ের আগে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। দুর্যোগ এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী সময়ে উদ্ধার তৎপরতা চালানোর জন্য ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখতে এবং উপকূলে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের নিবিড় নজরদারি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক দল, কোস্টগার্ড সদস্য, নৌপুলিশ সদস্য, ২ হাজার ২০০ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক এবং ৮ হাজার ৬০০ সিপিপি সদস্য সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় সিতরং-এর কারণে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।