November 25, 2024
ঢাকা ওয়াসার এমডিকে ১৩ বছরের বেতন -ভাতার হিসাব দিতে হবে

ঢাকা ওয়াসার এমডিকে ১৩ বছরের বেতন -ভাতার হিসাব দিতে হবে

ঢাকা ওয়াসার এমডিকে ১৩ বছরের বেতন -ভাতার হিসাব দিতে হবে

 

ঢাকা ওয়াসার এমডিকে ১৩ বছরের বেতন -ভাতার হিসাব দিতে হবে

গতবছর ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের ২৭৬তম সভায় কমিটির প্রস্তাবের ভিত্তিতে এমডির বেতন-ভাতা নির্ধারণ করা হয়

ঢাকা ওয়াসার এমডির বেতন ফিরিস্তি

মোট বেতন   ছয় লাখ ২৫ হাজার টাকা।

এর মধ্যে তার

মূল বেতনঃ                                 দুই লাখ ৮৬ হাজার টাকা,

বাড়িভাড়াঃ                                  ৩৫ হাজার,

চিকিৎসাও আপ্যায়ন ভাতাঃ     ৩৫ হাজার ৭৫০ টাকা,

বিশেষ ভাতাঃ                             এক লাখ ৮০ হাজার ৬৬ টাকা

বাংলা নববর্ষ ভাতাঃ                   চার হাজার ৭৬৭ টাকা।

তার উৎসব ভাতাঃ                    ৪৭ হাজার ৬৬৭ টাকা।

 

এ খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হলে বেতন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বাতিল করতে গত ২০ মার্চ বিবাদীদের উকিল নোটিশ দেয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। নোটিসের জবাব না পাওয়ায় গত ৩১ জুলাই হাইকোর্টে রিট করা হয়।

তাই ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানকে গত ১৩ বছরে কী পরিমাণ বেতন-বোনাস ও অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে ওয়াসা বোর্ডের আপিলের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন।

ওয়াসার এমডির কাছে অযৌক্তিক ও উচ্চ বেতনের অভিযোগ এনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সার্কুলার অ্যান্ড সার্ভিস (বেতন ও সুবিধা) আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত জুলাইয়ে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) পক্ষে রিটটি করেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো: ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ৬০ দিনের মধ্যে ওই সব তথ্য আদালতে প্রতিবেদন আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ঢাকা ওয়াসার এমডিকে অপসারণে নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। আগের দিনের অতিরিক্ত বেতন কেন তার কাছ থেকে আদায় করা হবে না এবং কেন তাকে অপসারণে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে ওয়াসা বোর্ড। সেই আবেদন শুনে চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। ফলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে।

আদালতে ওয়াসার বোর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাসুম। CAB-এর পক্ষে আদালতের অনুমতি নিয়ে সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. এম. শামসুল আলম ব্যক্তিগতভাবে শুনানি করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X