আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
“আদি-অন্ত সমস্ত সৃষ্টিকূলের সর্বশেষ্ঠ সৃষ্টি এবং মহান সৃষ্টিকর্তা র পরেই যার স্থান তাঁরি নাম মুহাম্মদ ( সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম “ ।
আজ রবিবার, হিজরি ১২ রবিউল আউয়াল। ১৪৪৪ বছর আগে ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের এ দিনে আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনা ও পিতা আব্দুলাহর কোল আলোকিত করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)। মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন তিনি।অন্ধকার যুগ থেকে মানবজাতির মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতায়ালা রাসুলুল্লাহকে (সা.) প্রেরণ করেন। রিসালাতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন শেষে ৬৩ বছর বয়সে ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে ১১ হিজরির এই দিনেই তিনি ইন্তেকাল করেন। তাই মুসলিম উম্মাহ্র জন্য আজকের এ দিনটি যেমন আনন্দের, তেমনি শোকের। এ কারণে মুসলিম বিশ্বের কাছে এই দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করে থাকেন।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররমে ইসলামি বইমেলাসহ পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান গতকাল বাদ মাগরিব বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে এর উদ্বোধন করেন। পরে দোয়া ও মোনাজাত করেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
এর আগে বিকেলে জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলার উদ্বোধন করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। মেলায় সব বই পাওয়া যাবে ৩৫ শতাংশ কমিশনে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)-এর তাৎপর্য তুলে ধরে পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেছেন, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) সারা বিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহ তাআলা হজরত মুহাম্মদ (সা.)–কে সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর আদর্শ, প্রজ্ঞা ও বিচক্ষণতা বর্তমান বিশ্বে জাতিতে জাতিতে সংঘাত-সংঘর্ষ নিরসনে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, ‘আমার দৃঢ়বিশ্বাস, মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।