November 24, 2024
চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার

চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার

চোখ ওঠা রোগের লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিকার

 

চোখ ওঠার সমস্যা সাধারণ মনে হলেও এটি ভীষণ যন্ত্রণাদায়ক। কনজেক্টিভাইটিসের প্রকোপ হঠাৎ করে বেড়েছে। শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বহু মানুষ এতে আক্রান্ত হচ্ছে। রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। চোখ ওঠা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা এবং সতর্ক অপরিহার্য হয়ে ওঠেছে।

চোখ ওঠার মানে কি?

কনজাংটিভাইটিস বলতে চোখের কনজাংটিভায় প্রদাহ বা ব্যথা বোঝায়। কনজাংটিভা হল আমাদের চোখের পাতার নিচে থাকা পাতলা ঝিল্লির মতো পর্দা , যা চোখের সাদা অংশ এবং চোখের বলের ভিতরের অংশকে ঢেকে রাখে। এই সমস্যা সাধারণত ছোট বাচ্চাদের বেশি হয়। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্করাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

চোখের রোগের প্রধান লক্ষণ ও উপসর্গগুলো  কি কি?

  • আক্রান্ত চোখের সাদা অংশ গোলাপি বা লাল হয়ে যাওয়া
  • চোখ দিয়ে পানি পড়া
  • চোখে জ্বালা করা
  • চুলকানির ভাব হওয়া
  • চোখে অতিরিক্ত কেতুর (আঠালো পদার্থ) আসা
  • চোখের পাতা ফোলা
  • অস্বস্তি অনুভব করা
  • মনে হচ্ছে যেন কিছু একটা চোখে পড়েছে
  • দেখতে অসুবিধা
  • আলোতে চোখ ছলছল করা
  • সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতায় আঠালো পদার্থ

চোখ ওঠার কারণগুলি কি কি?

১. এই রোগের প্রধান কারণ হল সংক্রমণ, অ্যালার্জি এবং পরিবেশগত যন্ত্রণা সৃষ্টিকারী পদার্থ (যেমন ধোঁয়া, বাতাস) ইত্যাদি।

২. ব্যাকটেরিয়া চোখের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এটি ভাইরাস আক্রমণের কারণেও হয়। বেশিরভাগ সময় চোখের সংক্রমণ ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয়। এই সংক্রমণগুলি ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট হয় যেমন স্ট্যাফিলোকক্কাস, ক্ল্যামিডিয়া এবং গনোকোকাস।

চোখ ওঠছে বুঝবেন কী করে?

চোখের সমস্যা দেখা দিলে চোখ অতিরিক্ত লাল হয়ে যায়। এটি কনজেক্টিভাল রক্তনালীগুলির প্রদাহের কারণে হয়। এছাড়া ঘুম থেকে উঠলে চোখ চটচটে ভাব, চোখে অস্বস্তি, চুলকানি ও জ্বালাপোড়া, চোখের কোণে ময়লা জমে (সাধারণত যা কেতুর নামে পরিচিত) ইত্যাদি।

চোখ ওঠলে কী করবেন?

ডাক্তারদের পরিভাষায় যেহেতু এটি সংক্রামক তাই রোগীকে একটু সাবধানে থাকতে হবে। চোখ উঠলে বারবার চোখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।

নোংরা পানি, ধুলাবালি, দূষিত বাতাস যেন আক্রান্ত চোখে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর হালকা গরম পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করুন। অনেকে বারবার পানি দেয়  বা চোখে পানি ছিটিয়ে চোখ পরিষ্কার করেন। যা মোটেও উচিৎ নয়।

সকল  স্বাভাবিক  খাবারের সাথে রাখতে পারেন বিট লবণ ত্রিফলা আমলকী কিসমিস  মধু ও ঘি ইত্যাদি।

যেহেতু চোখ উঠলে আলোতে যন্ত্রণা হয়, তাই বাইরে যাওয়ার সময় সানগ্লাস পরুন। আপনি যদি এই রোগে আক্রান্ত হন তবে আপনার ব্যবহৃত চশমা, রুমাল, তোয়ালে, কাপড় আলাদা করে রাখুন। আর  বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।

এ ছাড়া দৃষ্টি ঝাপসা হলে, চোখ অতিরিক্ত লাল হলে, অতিরিক্ত চুলকানি বা অতিরিক্ত ফোলা থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

টাইম টিভি  / আহমাদুল্লাহ

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X