November 21, 2024
তিন মাসে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা এসেছে

তিন মাসে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা এসেছে

মসজিদের দানবাক্সে স্বল্পসময়ে প্রায় চার কোটি টাকা জমা হওয়া এটাই প্রমাণ করে যে মানুষ ইসলামের জন্য  দিন দিন তাদের অন্তর উজার করে দিচ্ছে ।  এবং এটাও অনুমেয় যে অনেক মানুষ  শুধুমাত্র আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য গোপনে দান  সহকারে  অনেক ভালো কাজই  করে থাকেন।

শনিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে মসজিদের সকল দান বাক্স খোলা হয়। দেশি-বিদেশি মুদ্রা এবং স্বর্ণ-রৌপ্যসহ অসংখ্য চিঠি পাওয়া গেছে। এসব চিঠিতে গরিব-দুঃখী মানুষের নানা দাবি রয়েছে।

এর মধ্যে চাকরি না পেয়ে আত্মহত্যার প্রবণতা এড়াতে অনার্সের এক শিক্ষার্থীর চিঠি পাওয়া গেছে। ছাত্রের চিঠিতে লেখা- ‘আমাকে আত্মহত্যা থেকে বাঁচাও। আমি বাঁচতে চাই, বেকারত্বের বোঝা আর সইতে পারছি না। সবার খোঁচা দেওয়া কথা। চাকরি থাকলে হয়তো বেঁচে যেতাম।

ঐতিহাসিক এ মসজিদটিতে আটটি লোহার দানবাক্স রয়েছে। প্রতি তিন মাস পর পর সিন্দুকগুলো খোলা হয়। এবার তিন মাস পর শনিবার সিন্দুকগুলো খোলা হয়। প্রশাসন ও মসজিদ কমিটির তত্ত্বাবধানে মাদ্রাসার ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা টাকা গুনতে সাহায্য করছে।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ১৫ বস্তায় রেকর্ড ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া গেছে। ২ মাস ২৯ দিন পর শনিবার সকালে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবক্স উদ্বোধন কমিটির আহ্বায়ক এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে আটটি সিন্দুক খোলা হয়। সিন্দুকে  টাকা ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে।

সন্ধ্যায় রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রায় তিন মাস পর পাগলা মসজিদের আটটি সিন্দুক খুলে মোট ১৫টি বস্তা পাওয়া গেছে। হিসাব শেষে টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা। হিসাব শেষে টাকা জমা হয়েছে রূপালী ব্যাংকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X