September 18, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
জর্ডানে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইসলামী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের বিজয়

জর্ডানে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইসলামী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের বিজয়

জর্ডানে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইসলামী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের বিজয়

জর্ডানে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইসলামী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের বিজয়

জর্ডান:

জর্ডান, পশ্চিম এশিয়ার জর্ডান নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত ৮৯,৩৪২ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের একটি আরব দেশ। জর্ডানের পূর্ব ও দক্ষিণে সৌদি আরব, উত্তর-পূর্বে ইরাক, উত্তরে সিরিয়া, পশ্চিমে ফিলিস্তিন, ইসরাইল ও মৃত সাগর এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে লোহিত সাগর। রাজধানী আম্মান হল জর্ডানের সবচেয়ে জনবহুল শহর এবং দেশের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।

জর্ডানের মধ্যপন্থী ইসলামপন্থী বিরোধী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ইসলামিস্ট অ্যাকশন ফ্রন্ট (আইএএফ) ভোটে উল্লেখযোগ্যভাবে বিজয়   লাভ করেছে, গাজায় ইসরায়েলের হামলার ক্ষোভের কারণে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক সরকারি ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ইসলামিস্ট অ্যাকশন ফ্রন্ট (আইএএফ) নতুন নির্বাচনী আইন থেকে উপকৃত হয়েছে। এ আইনে ১৩৮ সদস্যের সংসদে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে, উপজাতীয় এবং সরকার সমর্থক গোষ্ঠীগুলির প্রভাব এখনও প্রাধান্য পেয়েছে। রয়টার্সের প্রাপ্ত প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুসারে এবং স্বাধীন ও সরকারী সূত্র দ্বারা এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

“জর্ডানের জনগণ আমাদের জন্য ভোট দিয়ে তাদের আস্থা দেখিয়েছে,” আইএএফ প্রধান ওয়ায়েল আল-সাক্কা রয়টার্সকে বলেছেন। এই নতুন পর্যায় আমাদের জন্য দায়িত্ব বাড়াবে, যা আমাদের জাতি ও নাগরিকদের প্রতি আরও দায়িত্বশীল করে তুলবে।

জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক সংস্কারের অংশ হিসেবে এই নির্বাচনকে গণতন্ত্রীকরণের দিকে একটি ছোট পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাজা দেশটির সীমান্তে চলমান সংঘাত থেকে জর্ডানকে রক্ষা করতে এবং রাজনৈতিক সংস্কার দ্রুত করতে চান।

জর্ডানের সংবিধান অনুযায়ী অধিকাংশ ক্ষমতাই বাদশাহ আবদুল্লাহর হাতে। তিনি সরকার নিয়োগ করেন এবং সংসদ ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। সংসদ অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে মন্ত্রিসভাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে পারে।

ভোটদান ব্যবস্থা এখনও স্বল্প জনসংখ্যার উপজাতীয় এবং প্রাদেশিক এলাকাগুলির পক্ষে, যেখানে জনসংখ্যার অধিকাংশই ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত এবং ইসলামপন্থীদের শক্ত ঘাঁটি। মঙ্গলবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল জর্ডানের ৫১ লক্ষ ভোটারের ৩২.২৫ শতাংশ, যা ২০২০ সালে ২৯ শতাংশ থেকে সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে।

জর্ডানের কর্মকর্তারা বলছেন, গাজা যুদ্ধ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক সংঘাত নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন দেশটির আপেক্ষিক স্থিতিশীলতাকে দেখায়। মুসলিম ব্রাদারহুডকে ১৯৪৬ সাল থেকে জর্ডানে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আরব বসন্তের পর দলটি সন্দেহের মুখে পড়ে, যখন ইসলামপন্থীরা কয়েকটি আরব দেশে ক্ষমতার জন্য লড়াই করেছিল।

ইসলামপন্থীরা গাজায় হামাসের সমর্থনে জর্ডানে ব্যাপক বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছে, যা বিরোধীরা তাদের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার একটি কারণ বলে দাবি করেছে।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X