আগাম নির্বাচনের পথে পাকিস্তান?
চলতি বছরের এপ্রিলেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হন ইমরান খান। তারপর থেকেই পাকিস্তানে আগাম নির্বাচনের জন্য অগ্নি বারুদ হয়ে মাঠে নামেন।
দেশজুড়ে কয়েক দফা বিক্ষোভ-কর্মসূচির পর ২৮ অক্টোবর লাহোরের লিবার্টি চক থেকে ইসলামাবাদমুখী ‘হকিকি আজাদি’ নামে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় লংমার্চের শুরু করেন।
উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতাসীন জোট সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের গদিতে মৃদু কম্পন উঠেছিল সেদিনই। শনিবার রাতে মারলেন ‘শেষ তারকাটা ‘। রাওয়ালপিন্ডির গ্যারিসন শহরের হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থকের সামনে পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারকে চাপে ফেলতেই এই তীর ছুড়েলেন ইমরান খান। প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেওয়া বর্তমান সরকারের জন্য একটি বড় সাংবিধানিক সংকটে পড়বে শাহবাজ সরকার। তখন দেশটির আগাম নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।
এদিন আরও একটি বড় ঘোষণা দেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খান। আগাম নির্বাচনের দাবিতে এতদিনের ‘লংমার্চ’ প্রত্যাহার করেছেন। বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতির চোরাবালিতে ডুবে থাকা পাকিস্তানে রাজনৈতিক ‘বিশৃঙ্খলা’ এড়াতে লংমার্চ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইসলামাবাদে যাব না। কারণ আমি জানি সেখানে গেলে দেশের আরও বিপর্যয় ঘটবে। জানমালের ক্ষতি হবে। জনগণের উদ্দেশে এসময় আবেগঘন আহ্বানে জানান, দেশ এখন অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি।
তাই এ সময় ‘বিশৃঙ্খলা’ ঘটলে তা দেশের কোনো স্বার্থ বয়ে আনবে না। গুলিবিদ্ধ (৩ নভেম্বর) হওয়ার পর প্রথমবার শনিবার প্রথমবার লংমার্চে যোগ দেন ইমরান। তার সমাবেশকে কেন্দ্র করে জড়ো হন হাজার হাজার সমর্থক। তাদের উদ্দেশে ইমরান বলেন, ‘আমরা দুর্নীতিবাজ এ সরকারের সঙ্গে থাকতে চাই না। আমরা এ ব্যবস্থার অংশ হব না। আমরা সব প্রাদেশিক পরিষদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রসঙ্গত, ইমরানের দল পিটিআই ইতিমধ্যেই ফেডারেল পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেছে। তবে দলটি দুটি প্রদেশ এবং দুটি প্রশাসনিক ইউনিট – গিলগিট-বালতিস্তান এবং পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীরে ক্ষমতায় রয়েছে। এদিকে ইমরান পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া রাজ্য বিধানসভা থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।