বিশ্বের সপ্তম ধনী দেশ কাতার বিশ্বকাপের জন্য ব্যয় করেছে দুশো বিলিয়ন মার্কিন ডলার
মাত্র ১১৫৮১ বর্গ কি মি বা ৪৪৭১ বর্গ মাইল এর দেশ কাতার যখন ২০১০ সালে ২০২২ বিশ্বকাপের অধিকার পায় তখন প্রতিটি কাতারির মনে এই বিশ্বকাপকে সফল করে তোলার উদগ্র বাসনা লালিত হয়েছিল। ধন-সম্পদের অভাব নেই কাতারের। পারস্য উপসাগরের ওপরে এমন একটা জায়গায় কাতারের অবস্থান যা প্রাকৃতিক গ্যাস ভাণ্ডারের ঠিক ওপরে। বস্তুত, বিশ্বের প্রাকৃতিক গ্যাসের ১০ শতাংশই কাতার ও ইরানের অধিকারে। তাই এই প্রাকৃতিক গ্যাস দ্বারাই কাতার সারা বিশ্বকে বশে রেখেছে। কাতারের জনসংখ্যা মাত্র ২৯ লক্ষ । তাও ১০ শতাংশ মাত্র আসল কাতারি। ভারত, বাংলাদেশ,পাকিস্তান, শ্রীলংকা, নেপালের শ্রমিকে ভরা এই দেশ। যদিও মৎসজীবী কাতার অধিবাসীদের মূল পেশা- পারস্য উপসাগরে মুক্তো অভিযান এবং সেই মুক্তোর চাষ করা। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ কাতারের জিডিপি ৩.৪ শতাংশ।
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে কাতার এখনও বেশ দূরে। দেশের শাসন ব্যবস্থা অল থানি পরিবারের ওপরই ন্যাস্ত। সুলতানিয়াতই শেষ কথা কাতারের। দেশের মানুষকে কোনো কর দিতে হয় না। অভ্যন্তরীণ আয়ের ওপরই কাতার চলে। সেই কারণে সাধারণ মানুষের কোনো ক্ষোভ নেই। ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করে কাতার গড়ে তুলেছে স্টেডিয়াম, রাস্তাঘাট, মেট্রো ইত্যাদি। কাতার আরও সমৃদ্ধ হওয়ায় সাধারণ মানুষ খুশি। তাই বিশ্বকাপকে ওয়েলকাম জানাচ্ছে ধনভাণ্ডারের মালিকেরা । বিগত কোন ফুটবল বিশ্বকাপে আয়োজকরা কখনোই এত অর্থ খরচে বিশ্বকাপের যোগান দেয় নি। যেটা সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র কাতারের দ্বারাই।