পাকিস্তান জুড়ে প্রতিবাদের ডাক
দলের প্রধান ইমরান খানের ওপর হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পিটিআই ট্রেডার্স উইং শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দেশব্যাপী শাটার-ডাউন ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ফোকাল পারসন নাসির সালমান বলেন, হামলাকারীরা তাদের রেড লাইন অতিক্রম করেছে। ডেইলি টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, বন্দুক হামলায় ইমরান খান ও অন্যান্য নেতারা আহত হওয়ার পর দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। ইমরান খানের কন্টেইনারে বন্দুক হামলার বিরুদ্ধে করাচির বিভিন্ন এলাকায় ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ শুরু করেছে পিটিআই কর্মীরা।
করাচির পাওয়ার হাউস চৌরঙ্গীতে যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করেছে বলে জানা গেছে বিক্ষুব্ধ পিটিআই কর্মীরা। পিটিআই কর্মীদের অবস্থানের কারণে সদর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাস্তা অবরুদ্ধ।
এদিকে, পিটিআই কর্মীরা লাহোরের 10টি বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ করছে। বিপুল সংখ্যক পিটিআই কর্মী লিবার্টি চকে বিক্ষোভ করছে। মুরি রোডে আরেকটি বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। শাহদারা, জিপিও চক, বাবু সাবু, শওকত খানম চক, শামা চক, ফিরোজপুর রোড, লক্ষ্মী চক, গভর্নর হাউস চক, দুবাই চক, রায়উইন্ড রোড ও বেখয়াল চকেও বিক্ষোভ চলছে।
ফয়সালাবাদে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহর বাসভবনের বাইরে বিপুল সংখ্যক বিক্ষোভকারী জড়ো হয়। ঝাং রোডও অবরোধ করে বিক্ষোভকারীরা।
সাদাকাত আলী আব্বাসির নেতৃত্বে পিটিআই কর্মীরা রাওয়ালপিন্ডিতে বিক্ষোভের আয়োজন করে। বিক্ষোভ চলাকালে রাওয়ালপিন্ডির ফৈজাবাদে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। কোয়েটায় বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে পিটিআই।
খাইবার পাখতুনখাওয়া (কেপি) মানসেহরা জেলার শিনকিয়ারি ইউসি এলাকায় কারাকোরাম হাইওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে পিটিআই কর্মীরা। গিলগিট ও বালতিস্তানের (জিবি) বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা ইমরান খান এবং পিটিআই নেতাদের উপর বন্দুক হামলার সাথে জড়িত সকল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।