ইরান রাশিয়াকে আরও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরান রাশিয়াকে ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র সহ আরও ড্রোন সরবরাহ করছে।
ইরানের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা শক্তিকে আরও ক্ষুব্ধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মন্ত্রীরা সোমবার ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে তেহরানের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে দেশটির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
তা ছাড়া, ফ্রান্স এবং জার্মানিও উল্লেখ করেছে যে এভাবে ড্রোন হস্তান্তর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২০১৫ সালের প্রস্তাবের লঙ্ঘন। তবে ইরানের একজন কূটনীতিক এ ধরনের যুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেন, ড্রোন কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা বিক্রেতার ব্যবসা নয়। আমরা পশ্চিমাদের মতো ইউক্রেন যুদ্ধে পক্ষ নিইনি। আমরা কূটনৈতিক মাধ্যমে এই সংকটের অবসান চাই।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে, কিয়েভ রাশিয়াকে ইউক্রেনে আক্রমণ করার জন্য ইরানের তৈরি শাহেদ-১৩৬- কামিকাজ ড্রোন ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে। তবে ইরান রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহের কথা অস্বীকার করেছে।
এদিকে, দুই ইরানি কূটনীতিক বলেছেন, রাশিয়া আরও ড্রোন এবং উন্নত ইরানী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য অনুরোধ করেছে যা নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম, বিশেষ করে ফাতেহ এবং জোলফিকার ক্ষেপণাস্ত্র।
৬ অক্টোবর, ইরান এবং রাশিয়া জোলফিকার সহ স্থল থেকে ভূমিতে স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
সে সময় ইরানের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার, ইরানের শক্তিশালী রেভল্যুশনারি গার্ডের দুই সিনিয়র অফিসার এবং সুপ্রিম ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একজন কর্মকর্তা রাশিয়ার সাথে অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে আলোচনা করতে মস্কো যান।
ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোর অস্ত্রাগারে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন পাওয়া গেলে তা ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়াবে।
রাশিয়া অবশ্য এখন পর্যন্ত ইরানের অস্ত্র ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছে। ইরানের তৈরি ড্রোন ইউক্রেনে ব্যবহার করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ক্রেমলিন তাদের ব্যবহারের কোনো তথ্য পায়নি।
অন্যদিকে, মার্কিন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জে-পিয়েরে ইরানের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে ড্রোন ব্যবহার নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ করেছেন।