অংসান সুচিকে আজকের দুই মামলায় ৬ বছরের সাজা সহ মোট ছাব্বিশ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত
ঘুষ ও প্রতারণার অভিযোগে মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে আরও ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দেশটির জান্তা সরকারের একটি আদালত সু চিকে কারাগারে সাজা দেয়। মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চিকে দুর্নীতির দুই মামলায় নতুন করে আরও ৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র বলছে, আজ বুধবার জান্তার আদালতে এ সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী এ নেত্রীকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন মামলায় মোট ২৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলো।
আজ দুটি দুর্নীতি মামলার প্রতিটিতে সু চিকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সূত্র বলছে, এ দুই মামলার সাজা একই সঙ্গে কার্যকর হবে। অর্থাৎ আলাদা করে ছয় বছরের কারাদণ্ড হলেও একই সঙ্গে কার্যকর হওয়ায় তা তিন বছরে শেষ হবে। মং উইক নামের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার পরিমাণ ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এ দুই মামলা করা হয়েছিল।
৭৭ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী অং সান সু চি নাইপিডোতে নির্জন কারাবাসে রয়েছেন। তিনি এখন সেখান থেকে তার বিরুদ্ধে সব মামলার শুনানিতে অংশ নিচ্ছেন।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের আদালতে ১৮টি অভিযোগে সুচির বিরুদ্ধে মামলা চলছে। যদিও তিনি এসব মামলার অভিযোগ অস্বীকার করছেন।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী। এরপর সু চিসহ দলের বেশ কয়েকজন সদস্য, রাজনীতিবিদ, বিধায়ক, আমলা, ছাত্র, সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতারের পর থেকে সু চির বিরুদ্ধে একাধিক অপরাধমূলক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরই মধ্যে মিয়ানমারের সামরিক আদালত তাকে বেশ কয়েকটি মামলায় কারাদণ্ড দিয়েছে। দুর্নীতি, ভোট কারচুপি, উসকানি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস করার অভিযোগে সু চি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিচারাধীন। এসব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তার মোট প্রায় ২০০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।