থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশে একটি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন একজন প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তা গুলি চালিয়েছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার দেশটির পুলিশের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। দেশটির ডেপুটি পুলিশ মুখপাত্র আর্চন ক্রাইটং রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গুলিতে অন্তত ৩১ জন নিহত হয়েছেন।
ডে কেয়ার সেন্টারে নিহতদের মধ্যে শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক রয়েছে।
নং বুয়া লাম্পু প্রদেশের একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে ২২ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও একজন প্রাক্তন পুলিশ সেখানে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। হামলাকারীর গুলি ও ছুরিকাঘাতে তারা নিহত হয়েছেন। তবে ওই পুলিশ সদস্য এখনো পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হামলার উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। হামলার পর স্কুলের বাইরে মাটিতে রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
সন্দেহভাজন ৩৪ বছর বয়সী ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম পান্যা খামরাপ। মাদক পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় গত বছর তাকে পুলিশ বাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়। স্থানীয় সময় আগামীকাল শুক্রবার আদালতে হাজির থাকার কথা তার। ঘটনার পর সাদা ভিগো পিকআপ ট্রাকে করে পালিয়ে যায় সে। পালানোর সময় গাড়ির বাম্পার পড়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা দোষীকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।
এরপর সেই বন্দুকধারী বাসায় ফিরে যায় এবং নিজের সন্তান ও স্ত্রীকে হত্যা করে। তারপর নিজেও আত্মহত্যা করেছে কিনা বিষয়টি এখনো জানা যায়নি ।
এই অঞ্চলে থাইল্যান্ডের সর্বোচ্চ বন্দুকের মালিকানার হার রয়েছে। তবে সরকারি হিসেবও বলছে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। এর আগে ২০২০ সালে, একজন বিক্ষুব্ধ সৈন্যের গুলিতে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত এবং ৫৭ জন আহত হয়েছিল।