পূর্ব এশিয়ার দেশ উত্তর কোরিয়া আবারও দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। বৃহস্পতিবার দেশটি এক জোড়া ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
এর মাধ্যমে দুই সপ্তাহের মধ্যে ষষ্ঠবারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করল উত্তর কোরিয়া। এর আগে মঙ্গলবার জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দেশটি। উত্তর কোরিয়া এ বছর ৩২টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ব্যালিস্টিক মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল এবং হাইপারসনিক মিসাইল।
উত্তর কোরিয়া কোথায় পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে পারে?
উত্তর কোরিয়া সর্বশেষ ২০১৭ সালে পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা করেছিল। পরীক্ষাটি পুঙ্গেরি নামে একটি সাইটে পরিচালিত হয়েছিল এবং ১০০ থেকে ৩৭০ কিলোটন শক্তি উৎপন্ন হয়েছিল।
একটি ১০০ কিলোটন বোমা ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নিক্ষেপ করা পারমাণবিক বোমার চেয়ে ছয় গুণ বেশি শক্তিশালী।
উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে এটি তাদের প্রথম থার্মোনিউক্লিয়ার অস্ত্র, যা অন্য যেকোনো পারমাণবিক অস্ত্রের চেয়ে বেশি শক্তিশালী।
পুঙ্গেরিতে ছয়টি ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষা চালানো হয়। তবে, ২০১৮ সালে, উত্তর কোরিয়া পরীক্ষাস্থলটি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়।
দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা যাচাই করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে।
এ সময় বিদেশি সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ওই স্থানের কয়েকটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গও উড়িয়ে দেওয়া হয়।
তবে উত্তর কোরিয়া এখনও পারমাণবিক পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানায়নি।
তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে পুঙ্গেরিতে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।
ভবিষ্যতে যদি এই স্থানে পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করা হয়, তাহলে তা হবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের গৃহীত প্রস্তাবের লঙ্ঘন।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক চুল্লি আবার চালু হয়েছে
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি উত্তর কোরিয়ার সমস্ত পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা ধ্বংস করবেন।
কিন্তু জাতিসংঘের পরমাণু শক্তি সংস্থা বলছে, স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া তার চুল্লি পুনরায় চালু করেছে। এসব চুল্লিতে তৈরি হয় পারমাণবিক অস্ত্র।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)ও বলছে, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোদমে চলছে।
এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্লুটোনিয়াম আলাদা করা, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ইত্যাদি।