সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আসন্ন লংমার্চ সরকারকে চমকে দেবে। লংমার্চের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রোববার তাজিলা রেলওয়ে মাঠে দলীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ইমরান খান বলেছেন যে তিনি এবার সরকারকে “চমকে ” দেবেন। কারণ সরকার তার পরিকল্পনা সম্পর্কে কিছুই জানে না।
তিনি কথিত কারচুপি এবং বিতর্কিত গোপন সংকেতের কথাও বলেছেন। পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল) নেত্রী মরিয়ম নওয়াজ শরিফের অভিযোগ অস্বীকার করে ইমরান খান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি থেকে গোপন সংকেত হারিয়ে যায়নি। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোপন সংকেতের টাকা পররাষ্ট্র দফতরে সহজলভ্য ছিল।
অ্যাভেনফিল্ড অ্যাপার্টমেন্ট মামলায় মরিয়ম শরীফের খালাস প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা থেকে বিরত রাখতে আইন পরিবর্তন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন জোট দ্বিতীয় জাতীয় পুনর্মিলন অধ্যাদেশ (এনআরও) নিয়ে সন্তুষ্ট নয় এবং আরও অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করছে।
পিটিআইয়ের লংমার্চ প্রসঙ্গে ইমরান খান বলেন, ‘আমি তাদের পরিকল্পনা জানি। কিন্তু তারা আমাকে চেনে না।
তিনি দলের নেতাকর্মী ও অনুসারীদের লংমার্চের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। তিনি আরও বলেন, সব প্রস্তুতি শেষ হলে তাদের জানানো হবে। পিটিআই প্রধান নেতা-কর্মীদের ‘শর্ট নোটিশে’ রাজধানীতে মিছিল করতে প্রস্তুত থাকতেও বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন এবং অর্থনীতি দিন দিন ক্রমশ নিম্নমুখী হচ্ছে। ফলে সরকারি কর্মচারীদের বেতন দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইমরান খান বলেন, সরকার তাকে গ্রেফতার করতে তিনবার পুলিশ পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, আমি জেলে যেতে প্রস্তুত। পুরো জাতি জেলে যেতে প্রস্তুত।
যদিও এর আগে,২৫ মে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ ঘোষণা করেছিলেন যে সদ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে লংমার্চে যেতে দেওয়া হবে না। তিনি পিটিআই-এর লংমার্চকে ‘ফিতনা’ ও ‘ফ্যাসাদ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এটা কোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নয়।
জোটের শরিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে রানা সানাউল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের থামানো হবে।