চলতি বছরের গত আট মাসে সারা দেশে ৫৭৪টি কন্যাশিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮৪ জন গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪৩ জন প্রতিবন্ধী শিশু রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১২) প্রেসক্লাবে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের ‘কন্যাশিশুর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ ’এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
দেশের ২৪টি জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদপত্র এবং অনলাইন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য থেকে কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। এডুকো বাংলাদেশ ০ থেকে ১৯ বছর বয়সী শিশুদের নির্যাতনের প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে।
কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম বলছে,
আট মাসে গৃহশ্রমিক নির্যাতনের ১৫ টি ঘটনা ঘটেছে; তাদের মধ্যে দুজন নিহত, একজন আত্মহত্যা করেছে।
প্রেমে প্রতারণা, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিরোধসহ নানা কারণে এ সময়ে ১৮১ শিশু আত্মহত্যা করেছে। ৮ শিশুকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। ৩ টি মেয়ে শিশু এসিড হামলার শিকার হয় এবং ১৩৬টি শিশু অপহরণ ও পাচারের শিকার হয়।
এ সময় মোট ৭৬ শিশু যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু। রাস্তায়, নিজের বাড়িতে, নিকটাত্মীয় এবং বাড়িওয়ালা দ্বারা নির্যাতনের এসব ঘটনা ঘটেছে।
যৌন নির্যাতনের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। কারণ যৌন নির্যাতনের খবর খুব একটা প্রকাশিত হয় না। এছাড়া মেয়েদের যৌন নির্যাতনের একটি নতুন রূপ হল পর্নোগ্রাফি। ২০২২ সালের প্রথম আট মাসে ১৫ জন মেয়ে পর্নোগ্রাফির শিকার হয়েছে।
জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ১৫টি শিশু বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে বলে জানা গেলেও বাস্তবতা ভিন্ন। মাঠপর্যায়ে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ মাসে ২৮টি জেলায় ২ হাজার ৩০১টি মেয়ে শিশুর বাল্যবিবাহ হয়েছে, প্রতি মাসে গড়ে ২৮৮ জন।
প্রতিবেদনে ফোরামের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ শিশু ধর্ষণ সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করার সাথে সাথে বিভিন্ন রকমের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।