কঙ্গোতে গণকবরে শিশুসহ ৪৯ জনের লাশ পাওয়া গেছে
মধ্য আফ্রিকার ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআর কঙ্গো) একটি গণকবর থেকে শিশুসহ ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে শান্তিরক্ষীরা। গত সপ্তাহান্তে সেখানে চরমপন্থী দল ও গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
ইটুরি প্রদেশটি কঙ্গোর উত্তরে উগান্ডার সীমান্তের কাছে অবস্থিত। গত সপ্তাহান্তে সেখান থেকে এই গণকবরটি উদ্ধার করা হয়।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, দুটি গ্রাম থেকেও লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ন্যায়মাম্বা গ্রাম থেকে ৪২টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন শিশু। অপরদিকে, বাকি সাতজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী এমবোগি গ্রামে।
উত্তর কঙ্গোর এই অঞ্চলটি বরাবরই উত্তেজনার কেন্দ্রস্থল। এখানে বেশ কিছু চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। এরকম একটি গ্রুপ হল কোডেক। কঙ্গোর উন্নয়নের জন্য সমবায় নামে পরিচিত এই দলটি মূলত লেন্দু চাষীদের নিয়ে গঠিত। তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হেমা রাখালরা। গত সপ্তাহান্তে, এই কোডকোয়ে উত্তর কঙ্গোতে একটি অপারেশনে গিয়েছিল। তবে সংঘাত শুরু হওয়ার পরপরই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা সেখানে পৌঁছায়। কবরগুলো সেদিন তৈরি হয়েছিল কি না তা এখনো জানা যায়নি। যাইহোক, শান্তিরক্ষীরা সেদিন কবরগুলো লক্ষ্য করে।
তবে শান্তিরক্ষী বাহিনীর মুখপাত্র বলেছেন, এলাকায় এর আগেও বেশ কয়েকটি সংঘর্ষ হয়েছে। কবরগুলোও সেই সময়ের হতে পারে। যাইহোক, যে পদ্ধতিতে শিশুদেরও আক্রমণ করা হয়েছিল, তা মর্মান্তিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন মুখপাত্র।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কঙ্গোতে সংঘাত বেড়েছে। দেড় মাসে মোট ১৯৫ জন নিহত হয়েছেন। শান্তিরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতেও এ ঘটনা কীভাবে ঘটছে তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে।