October 18, 2024
ইবোলায় ৫৫ মৃত্যু, কোয়ারেন্টাইনে উগান্ডার ২ ষ্টেট

ইবোলায় ৫৫ মৃত্যু, কোয়ারেন্টাইনে উগান্ডার ২ ষ্টেট

ইবোলায় ৫৫ মৃত্যু, কোয়ারেন্টাইনে উগান্ডার ২ স্টেট

ইবোলায় ৫৫ মৃত্যু, কোয়ারেন্টাইনে উগান্ডার ২ ষ্টেট

ইবোলা সংক্রমণে পূর্ব আফ্রিকার দেশ উগান্ডায় মারা গেছেন ৫৫ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইবোলোর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে তাই এ রোগের ‘এপিসেন্টার’ বলে পরিচিত দেই জেলা মুবেন্ডে এবং কাসান্ডায় ফের ২১ দিনের কোয়ারেন্টাইন জারি করেছে দেশটির সরকার।

শনিবার উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইয়োয়েরি মুসেভেনি স্বাক্ষরিত এক সরকারি নোটিশে এ তথ্য জানানো হয়।

করোনার মতো ইবোলাও প্রাণঘাতী একটি রোগ; এবং কোভিডের মতোই বাদুড়, বানর কিংবা শূকরের মাধ্যমে এই রোগটি মানবদেহে সংক্রমিত হয়। তবে এটি শ্বাসতন্ত্রের কোনো রোগ নয়, নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও এই রোগটি ছড়ায় না।

ইবোলার পুরো নাম ইবোলা হেমোরাজিক ফেভার বা ইএইচভি। যে ভাইরাসটি এই রোগের জন্য দায়ী, তার নাম ইবোলাভাইরাস। এই রোগটি ছড়ায় মূলত আক্রান্ত প্রাণী ও মানুষের দেহ থেকে নিঃসৃত তরলজাতীয় পদার্থ, অর্থাৎ–রক্ত, লালা, বীর্য, ঘাম, মুত্র প্রভৃতির সংস্পর্ষে এলে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত প্রাণীর মাংস কাঁচা বা অর্ধসেদ্ধ অবস্থায় খেলেও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

মানুষ এবং বানরজাতীয় প্রাণী ও শুকর সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত হয়। ইবোলায় আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুহার অনেক বেশি— ৮৩ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত।

ফলাহারি বাদুড় এই রোগের প্রধান বাহক। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জানা গেছে, বাদুড় এই রোগে আক্রান্ত হয় না, তবে মূলত বাদুড়ের মাধ্যমেই ছড়ায় এই ভাইরাসটি। আফ্রিকার যেসব অঞ্চলে বাদুড়ের মাংস খাওয়ার প্রচলন আছে, সেসব দেশে এই রোগটি ছড়ানোর হার অনেক বেশি। মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার বাইরে অন্য কোনো দেশে এই রোগটির প্রাদুর্ভাবের খবর পাওয়া যায়নি।

ইবোলায় আক্রান্ত হলে, রোগীর শরীরের প্রথম লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, গলা ব্যথা, পেশী ব্যথা, মাথাব্যথা। তারপর এক পর্যায়ে রোগীর ঘন ঘন ডায়রিয়া ও বমি হতে থাকে এবং এর সাথে শরীর থেকে রক্ত বের হতে থাকে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে একজন রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X