February 12, 2025
এক গরুর দাম ৫৬ কোটি টাকা, যার প্রতি কেজির মুল্য ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা!

এক গরুর দাম ৫৬ কোটি টাকা, যার প্রতি কেজির মুল্য ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা!

এক গরুর দাম ৫৬ কোটি টাকা, যার প্রতি কেজির মুল্য ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা!

এক গরুর দাম ৫৬ কোটি টাকা, যার প্রতি কেজির মুল্য ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা!

“পৃথিবীর ইতিহাসে হযরত মুসা (আ.)নবীর সময়ে যে গরুটির বর্ণনা এসেছে এবং আল-কুরআনের ২য় সূরাটিও সেই গরু অর্থাৎ বাকারা বা গাভী নামে লিপিবদ্ধ হয়েছে এবং এটা কুরআনের সবচেয়ে বড় সূরা। সেখানের সে গাভীটিই ছিল পৃথিবীর সবচাইতে নিখুঁত সুন্দরতম এবং একমাত্র গাঢ় পীত বা হলুদ বর্ণের  মধ্য বয়সের গাভী গরু। যেটাকে ক্রয় করতে হয়েছিল গাভীর সমপরিমাণ স্বর্ণের বিনিময়ে । যার প্রতি কেজি বর্তমান বাজার মূল্যে বাংলা টাকায় হয় ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকার উপরে। যেটার বিকল্প তামাম দুনিয়াতে আর হয়নি।”

এরপর হরেক রকমের গরু সৌন্দর্যের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়েছে। তার মধ্যে ব্রাজিলের ভিয়াটিনা-১৯ গরুটি অন্যতম। যার মূল্য বাংলা টাকায় ৫৬ কোটি টাকা। যদি তার  ওজন ১১০১ কেজি হিসাব করা হয় তাহলে প্রতি কেজির মূল্য হবে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা।  তাও এটা শরীরের অন্যান্য অঙ্গ পতঙ্গ সহকারে এবং সকল হিসেব একত্রে রি করে তবেই কেজির হিসাব। আর যদি পিওর মানুষের হিসেব ধরা হয় তাহলে প্রতি কেজির দাম আরও অনেক বেশি করে পড়বে।

ব্রাজিলের মিনাস গেরাইসে বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৬ কোটি টাকায় একটি  গাভী গরু বিক্রি হয়েছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই গরুটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি গরু হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখায়। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

গরুটির নাম ‘ভায়াটিনা-১৯’। ৫৩ মাস বয়সী এই গরুটির ওজন প্রায় ১,১০১ কেজি; যা নেলোর জাতের অন্যান্য গরুর গড় ওজনের দ্বিগুণ। ‘ভায়াটিনা-১৯’ অন্যান্য গরু থেকে আলাদা কারণ এর সুন্দর সাদা পশম, আলগা চামড়া এবং কাঁধে একটি লক্ষণীয় কুঁজ রয়েছে।

বিশ্ব রেকর্ড স্থাপনের পাশাপাশি, টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থে ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায় ‘ভায়াটিনা-১৯’ মিস সাউথ আমেরিকা জিতেছে। প্রসঙ্গত, এটি একটি মিস ইউনিভার্স-স্টাইলের গরু প্রতিযোগিতা যেখানে বিভিন্ন দেশের ষাঁড় এবং গরু একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করে। ‘ভিয়াটিনা-১৯’ তার ব্যতিক্রমী পেশী গঠন এবং বিরল জিনগত বংশের কারণে প্রতিযোগিতাটি জিতেছে।

নেলোর জাতের গরু গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুর সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সুপরিচিত। এই কারণে, প্রজনন কর্মসূচির জন্য বিশ্বব্যাপী ভায়াটিনা-১৯ ভ্রূণের চাহিদা বেশি।

পশুচিকিৎসক লরানি মার্টিন্স বলেন যে, ‘ভায়াটিনা-১৯’ এখন পর্যন্ত অর্জিত সবচেয়ে নিখুঁত গবাদি পশু। এটি একটি সম্পূর্ণ গাভী। মালিকরা একটি সম্পূর্ণ গাভীতে যা যা খুঁজছেন তার সমস্ত বৈশিষ্ট্য এতে রয়েছে।

ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির মতে, ব্রাজিল এখন বিশ্বের নেলোর গবাদি পশুর বৃহত্তম উৎপাদক, এবং এই জাতটি আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, ভেনেজুয়েলা, মধ্য আমেরিকা, মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য অনেক দেশে রপ্তানি করা হয়েছে।

ভায়াটিনা-১৯ নেলোর জাতের অন্তর্গত, যা ওঙ্গোল জাতের নামেও পরিচিত, যা প্রথম ১৮০০ সালে ব্রাজিলে আনা হয়েছিল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই পেশীবহুল জাতটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের প্রকাশম জেলায় উদ্ভূত হয়েছিল এবং খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ সালের দিকে আর্যরা প্রথম এটি প্রবর্তন করেছিল।

ব্রাজিলের বেশিরভাগ গবাদি পশু নেলোর জাতের। এগুলো মাংসের জন্য পালন করা হয়। ইউএস কৃষি বিভাগের মতে, ব্রাজিলে প্রায় ২৩ কোটি গরু রয়েছে। তার মধ্যে নেলোর জাতের গরু অনেক।

আরো পড়তে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X