সংবিধানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিতে হবে: অধ্যাপক আবদুর রব
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে সংবিধানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ও সংস্কৃতিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে’, বলেছেন প্রখ্যাত পরিবেশ বিজ্ঞানী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আবদুর রব।
জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশের সংবিধান সংস্কার’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। সেমিনারের আয়োজন করে গবেষণা সংস্থা ওয়ার্ল্ড মুসলিম উম্মাহ।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুর রব বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় সম্প্রদায় সারা বিশ্বে একটি দেশ গঠন করে এবং সে দেশের আইন ও সংবিধান তাদের স্বার্থের ভিত্তিতে লেখা হয়।
তিনি বলেন, কোনো দেশের আইন-কানুন যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ও সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না হয়, তাহলে সে দেশের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য একটি স্বাধীন মুসলিম দেশের উপযোগী আইন ও সংবিধান তৈরি করতে হবে।
বর্তমান সংবিধানকে দলীয় ইশতেহারে পরিণত করার জন্য পতনশীল ফ্যাসিবাদী সরকারকে দায়ী করে সেমিনারের প্রধান আলোচক ডক্টর ফরিদ উদ্দিন খান মন্তব্য করেন যে, ‘কোনো দলের এজেন্ডা বা বক্তব্য জাতীয় সংবিধানের অংশ হতে পারে না।
তিনি সংবিধান থেকে দলীয় স্বার্থে অন্তর্ভুক্ত নয় এমন বিভিন্ন ধারা ও উপ-ধারা অপসারণ করে তার পরিবর্তে জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধারা ও উপ-ধারা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডুয়েটের সাবেক ডিন ড. আব্দুল মান্নান, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, ইতিহাস অন্বেষা সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম, রাষ্ট্রপতি মো. মুসলিম উম্মাহ ট্রাস্টের মুফতি সাঈদ আবদুস সালাম।
রফিকুল ইসলাম রিমনের সঞ্চালনায় সেমিনারে ভারত কর্তৃক আরোপিত ১৯৭২ সালের সংবিধানকে ভারতের চাপিয়ে দেয়া সংবিধান মন্তব্য করে বলেন, প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান জারিকৃত Law and continuation Order – ১৯৭১ – ১৯৭১ মোতাবেক আমরা পাকিস্তান থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে বাংলাদেশ পেয়েছি। সুতরাং আমাদের সংবিধান হওয়া উচিত ১৯৫৬ সালের ইসলামী সংবিধান। ভারতের চাপিয়ে দেয়া ১৯৭২ সালের সংবিধান নয়।