জাতিসংঘ থেকে ইসরায়েলকে বহিষ্কারের আহ্বান
ইসরায়েলের সদস্যপদ প্রত্যাহার করার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির বার্তা সংস্থা অন্তরা জানিয়েছে যে, ইন্দোনেশিয়ার হাউস অফ পিপলস রিপ্রেজেন্টেটিভস ইন্টার-পার্লামেন্টারি কো-অপারেশন কমিটির (ডিপিআর আরআই) সাথে বৈঠক করেছে।
ডিপিআর আরআই-এর চেয়ারপারসন মারদানি আলি সেরা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরাইলকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কার করুন। কারণ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে এবং আরও বেশি সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, ইসরাইল জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘন করেছে, যেখানে শান্তি, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখা, বিভিন্ন জাতির মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি করা জাতিসংঘের মূল লক্ষ্য। তাই সময় এসেছে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত নেওয়ার, ইসরাইলকে বহিষ্কার করা এবং আমরা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন করতে সম্মত।
এর আগে আরব লীগ-ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে জাতিসংঘে ইসরায়েলের সদস্যপদ বাতিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইন্দোনেশিয়া ও অন্যান্য দেশ ইসরায়েলকে বহিষ্কারের জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদিকে, ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গরিবাবাদী মন্তব্য করেছেন যে এখনই সময় ইসরাইলকে জাতিসংঘের সদস্যপদ থেকে বহিষ্কারের।
রোববার তেহরানে অনুষ্ঠিত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) ও আরব লিগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের যৌথ বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এই বৈঠক আয়োজনের জন্য সৌদি আরবকে ধন্যবাদ জানিয়ে গরিবাবাদী বলেন, গাজা ও লেবাননের বর্তমান পরিস্থিতি মানবতার জন্য লজ্জাজনক হয়ে উঠেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে অন্যায় ও আগ্রাসন সহ্য করে ফিলিস্তিনের জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
গরিবাবাদী আরও বলেন, ইসরায়েলের বৈরী কর্মকাণ্ড জাতিসংঘের নীতি ও বৈধতার পরিপন্থী। জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেলা, মহাসচিবকে বৈধতা দেওয়া, জাতিসংঘের কর্মীদের হত্যা এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় উপেক্ষা করার মতো পদক্ষেপগুলি জাতিসংঘের সনদ, বিশেষ করে অনুচ্ছেদ ২ লঙ্ঘন করেছে। তাই ইসরাইলকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কার করার সময় এসেছে এখনই।
ইরানি কর্মকর্তা আরও বলেছেন যে, ইসরাইলের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ অস্ত্র, অর্থনীতি ও বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা উচিত এবং ফিলিস্তিন দখলকে সমর্থনকারী সমস্ত প্রতিষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।