৮ কোটি রুপির জন্য প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে খুন
পৃথিবীতে মানবতা শেষ হয়ে গেছে। মানুষ অর্থের জন্য কাছের মানুষদের খুন করতেও দ্বিধা করে না। যার সাথে সে জীবনের শেষ পর্যন্ত থাকার প্রতিশ্রুতি দেয় তাকে মৃত্যুতে পাঠাতেও কেউ দ্বিধা করে না। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে তেলেঙ্গানায় যা বিশ্বাস করা কঠিন। টাকার জন্য স্বামীকে খুন করলেন এক মহিলা। তবে স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও আরও একজন আছেন তিনি এই স্ত্রীর প্রেমিকা।
আট কোটি রুপির জন্য স্বামীকে খুন করলেন এক ভারতীয় মহিলা। ভারতের কর্ণাটকে প্রেমিককে সাথে নিয়ে ব্যবসায়ী স্বামীকে খুন করেছে সে। ঘটনার প্রায় এক মাস পর সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে খুনের বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। স্বামীর কাছে ৮ কোটি রুপি দাবি করেছেন স্ত্রী নীহারিকা।
রুপি দিতে অস্বীকার করায় নীহারিকা ও তার প্রেমিক তার স্বামীকে হত্যা করে তাকে ৮০০ কিমি দূরে ফেলে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ৮ অক্টোবর কর্ণাটকের কোডাগু জেলার সুন্তিকোপা থেকে এক ব্যক্তির অর্ধ-দগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল, তবে তার পরিচয় জানা যায়নি। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ।
তেলেঙ্গানা রাজ্যের একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি সেখানে নজরে আসে। তদন্তের পর জানা যায়, ওই গাড়ির মালিক রমেশ নামে ৫৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। স্ত্রীকে জেরা করে সন্দেহ হয় পুলিশের। পুলিশের ক্রমাগত জেরার মুখে নিহারিকা স্বীকার করেছে যে, তিনি তার প্রেমিক নিখিল এবং তার বন্ধু অঙ্কুরের সহায়তায় তার স্বামীকে খুন করেছে।
নীহারিকা এবং তার প্রেমিক রমেশকে ১অক্টোবর হায়দরাবাদের উৎপলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর তারা গাড়িতে লাশ নিয়ে কর্ণাটকের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তারা মৃতদেহটি উৎপল থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে কোডাগুতে একটি কফি এস্টেটে নিয়ে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। লাশ কম্বলে জড়িয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়। সব কাজ শেষ করে তারা সবাই হায়দ্রাবাদে চলে আসে।
হায়দরাবাদে ফিরে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করার পর নীহারিকা জিডি করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, অল্প বয়সেই প্রথম বিয়ে করেছিলেন নীহারিকা। সেখানে তার একটি সন্তানও রয়েছে। স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে গেলে তিনি হরিয়ানায় চলে যান। আর্থিক জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। জেল থেকে বেরিয়ে ব্যবসায়ী রমেশকে বিয়ে করেন নীহারিকা। রমেশকে বিয়ে করার পর নীহারিকা বিলাসবহুল জীবন শুরু করেন।
রমেশকে বিয়ের পর থেকে শুরু হয় নীহারিকার বিলাসবহুল জীবন। তবে স্বামীর বয়স অনেক বেশি হওয়ায় রমেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো ছিল না।এর পরে, নীহারিকা একজন পশু চিকিৎসক নিখিলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। রমেশের কাছ থেকে ৮ কোটি রুপি না পেয়ে নীহারিকা তার প্রেমিকের সাথে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। এবং তাকে মেরেই ফেলে তারা।