‘আমার দিদি গণতন্ত্রের জন্য লড়ছে’, দিওয়ালি অনুষ্ঠানে কমলার বোন মায়া
আগামী ৯ দিন পরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।অনেক জরিপ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পদের দৌড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস শেষ পর্যন্ত মার্কিন সিনেটের রিপাবলিকান প্রার্থীদের শীর্ষে থাকবেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে। মায়া হ্যারিস এই পরিস্থিতিতে তার নিজের সহোদরের প্রশংসা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, তার বোন কমলা সামগ্রিক গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন।
আমেরিকায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত লোকেরা খুব ধুমধাম করে দিওয়ালি উদযাপন করে। সেই উপলক্ষে অ্যারিজোনার স্কটসডেলে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মায়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র দশ দিন বাকি। সেই প্রসঙ্গ উঠে আসে মায়ার মুখে। তিনি বলেন, “কমলা এমন একজন ব্যক্তি যিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন। আপনি কোথা থেকে এসেছেন তাতে কিছু যায় আসে না। আপনি আপনার প্রাপ্য সুযোগ পাবেন।”
নির্বাচনের দৌড়ে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্পেরভোটপ্রচারে নাম ঘুরিয়ে অভিবাসীদের আবর্জনা বলেছেন বলে অভিযোগ। তিনি বলেন, “আমরা আসলে বাকি বিশ্বের কাছে আবর্জনার পাত্রের মতো।” ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে কটাক্ষ করে ট্রাম্প আরও বলেন, “আমেরিকা আসলে অনেকের কাছেই আবর্জনা ফেলার একটা জায়গা মাত্র।” ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের প্রতি কটাক্ষ করে ট্রাম্প যোগ করেছেন, “আমেরিকা সত্যিই অনেক মানুষের জন্য একটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড।” অনেকেই বলছেন, ট্রাম্প অভিবাসীদের আবর্জনা বলছেন। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, মায়ার বক্তব্যে যেন ট্রাম্পকেই ‘জবাব’ দেওয়া হল
প্রসঙ্গত, মায়া-কমলার মা শ্যামলা গোপালন ভারতের তামিলনাড়ু থেকে আমেরিকার বার্কলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যান। বিয়ের পর তারা সেখানে বসবাস শুরু করেন। এই দিনে মায়া তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেটর কমলা আমেরিকায় এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেন। একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারী যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। তিনি কি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হবেন? আপাতত, ডেমোক্র্যাটরা এটাই উত্তর খুঁজছে।
আরো জানতে