৭২’র মুজিববাদী সংবিধান ‘বাতিল’ও রাষ্ট্রপতি চুপপুর ‘অপসারণ’দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক
বাহাত্তরের সংবিধান ‘বাতিল’ এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১৯৭২ সালের মুজিববাদী সংবিধান বাতিল ও সাহাবুদ্দিনের অপসারণের দাবিতে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন,, ‘কোনো দল যদি বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে না আসে তাহলে ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে সেই দলকেও আমরা বয়কট করবো। আমরা বাহাত্তরের পচা-গলা সংবিধান মানবো না।’
তিনি আরো বলেন, ‘বাহাত্তরের সংবিধান থাকলে রাজনৈতিক সংকট দূর হবে না। এই সংবিধানের মধ্য দিয়েই ফ্যাসিবাদ কাঠামো সব সময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সংঘবদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা সব সময় বলেছিলেন যে- আমাদের সব সময় সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। যখনই তাকে পদত্যাগ করতে বলা হতো, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলা হতো বা নির্দলিয় সরকারের কথা বলা হতো তখনই এই সংবিধান রক্ষা করার কথা বলতেন।’
বঙ্গভবন ঘেরাও প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন,‘আমাদের দাবি রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ। তবে এ ধরনের আন্দোলন আমরা চাই না। আমরা এরই মধ্যে তাদের (বঙ্গভবন ঘেরাওকারীদের) সঙ্গে কথা বলেছি। যারা আন্দোলনে আছেন তাদের প্রতিও আহ্বান জানাবো, আপনারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর আস্থা রাখুন। আমরা একসঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে আবারও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবো।’
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল যদি আমাদের জাতীয় ঐক্যে না আসে তাহলে আমরা তাদের বাদ দিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্য গড়ে তুলে ফ্যসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে তার সমাধান করব। আমরা এখনো বঙ্গভবনে স্বৈরাচারদের দেখতে পাচ্ছি। আমরা দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতির অপসারণের জন্য বৃহত্তর ঐক্যের ডাক দিচ্ছি।’