October 22, 2024
শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে: এহসানুল হক মিলন

শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে: এহসানুল হক মিলন

শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে: এহসানুল হক মিলন

শিক্ষাব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে: এহসানুল হক মিলন

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ একটি এডুকেশন হাব তৈরি করেছে, যেখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে যাচ্ছে। এতে করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রাও নষ্ট হচ্ছে।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘শিক্ষা ব্যবস্থা ও পাঠ্যক্রম সংস্কারের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ফাউন্ডেশন অব এডুকেশনাল ট্রান্সপারেন্সি (এফইটি) এবং এডুকেশন টাইমস এই সভার আয়োজন করে।

এহসানুল হক মিলন বলেন, “অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে বিভিন্ন কমিশন গঠন করা হলেও কোনো শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়নি, যা দুঃখজনক। তবে আমরা একটি স্থায়ী শিক্ষা কমিশন আশা করেছিলাম। স্বাধীনতার পর একাধিকবার শিক্ষা কমিশন গঠন করা হলেও তা সঠিকভাবে আনেনি। আমরা চাই, এই পর্বে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে যারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে শিক্ষা সংস্কারে কাজ করবে।

বিএনপি সরকারের সাবেক এই  শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের শিক্ষাখাতকে রূপ দিতে পারে এমন অনেক শিক্ষক আছেন, কিন্তু সেই শিক্ষকদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বেতন ১৭ হাজার টাকা, বর্তমান বাজারে এই টাকায় জীবন ধারণ করা খুবই কঠিন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটের স্বচ্ছতা প্রসঙ্গে আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট তৈরি করে ইউজিসিতে (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) পাঠানো হয়, সেই বাজেট সরকারের কাছে পাঠানো হয়। তারপর সরকার সেই বাজেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায়। এখন যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলা হয়, সেখানকার ভিসি বাজেট তৈরি করেন। কিন্তু সেই বাজেট কি যথাযথ চাহিদার প্রতিফলন ঘটায়? ছাত্র পরিষদের ইনপুট নিয়ে বিতর্কের মাধ্যমে বাজেট তৈরি করা হলে যথেষ্ট স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকত। ছাত্ররাও যেমন বুঝতে পারতো সরকার কত টাকা খরচ করছে, শিক্ষকরাও রাজনৈতিক ছায়ায় থাকতে পারতোনা।

এফইটি সাধারণ সম্পাদক শরীফ মোহাম্মদ সফিকুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্য বক্তারা ছিলেন- শিক্ষা ও শিশু সুরক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক রাখাল রাহা, সেভ দ্য চিলড্রেন-এর পরিচালক (শিক্ষা কর্মসূচি) মেহরুন্নিসা স্বপ্না প্রমুখ। বৈঠকে অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি আসেননি।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X