October 6, 2024
কথা রাখছেন প্রবাসীরা, সেপ্টেম্বরেও পাঠালেন ২৪০ কোটি ডলারের উপরে

কথা রাখছেন প্রবাসীরা, সেপ্টেম্বরেও পাঠালেন ২৪০ কোটি ডলারের উপরে

কথা রাখছেন প্রবাসীরা, সেপ্টেম্বরেও পাঠালেন ২৪০ কোটি ডলারের উপরে

কথা রাখছেন প্রবাসীরা, সেপ্টেম্বরেও পাঠালেন ২৪০ কোটি ডলারের উপরে

জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রবাসীরা রেমিটেন্স ধর্মঘটের ঘোষণা দেন। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত প্রবাসী আয় না পাঠানোরও প্রচারণা চালায় তারা। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার তিন দিন পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর তিনি প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর আহ্বান জানান। সেই আহ্বান ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছেন প্রবাসীরা। এই মাসেও ২৪০ কোটি  মার্কিন ডলারের বেশি পাঠানো হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রবাসীদের সম্প্রতি চলে যাওয়া সেপ্টেম্বর মাসে তারা দেশে ২৪০ কোটি  মার্কিন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। দেশে বৈধ পথে টাকা পাঠানোর প্রবণতা বেড়েছে।

আইনি মাধ্যমে টাকা পাঠানোর প্রবণতা দেশে প্রবাসীদের আয় বা রেমিট্যান্স বাড়িয়েছে। সেপ্টেম্বরে (১ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর) প্রবাসী আয় ২৪০ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, এর আগের বছরের (২০২৩) সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসী আয় ছিল ১৩৩ দশমিক ৪ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে (২০২৪) প্রবাসী আয় পৌঁছেছে ২৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। সে হিসেবে এ সময়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ।

গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রবাসী আয় ছিল ৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ৭ মিলিয়ন ডলার। আর চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ৬ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ৩ কোটি ডলার। একই সময়ে গত বছরের তুলনায় প্রবাসী আয় বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স প্রেরণে সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে হুন্ডি বা অবৈধ রেমিটেন্স পাঠানোর প্রবণতা কমেছে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রবাসী আয়ে।

হুসনে আরা শিখা বলেছেন যে গত বছরের (২০২৩) সেপ্টেম্বরের তুলনায় এই বছরের (২০২৪) সেপ্টেম্বরের একই সময়ে প্রবাসী আয় ৮০.২০ শতাংশ এবং বলেছিলেন যে অর্থ পাচার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হলে এই প্রবাসী আয় আরও বৃদ্ধি পাবে। .

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২১৬  কোটি ৪৫ লাখ ৬০  হাজার ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০  লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০  হাজার ডলার, মে মাসে ২২৫  কোটি ৪৯ লাখ ৩০  হাজার ডলার, জুনে ২৫৩  কোটি ৮৬  লাখ ডলার। জুলাই মাসে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

গত বছরের ডিসেম্বরে রেমিটেন্স ছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। হাজার ডলার এবং জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

আরো পড়ুন
মাত্র ৬ দিনে ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স প্রেরণ শুধু এক দেশের প্রবাসীদের

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X