December 3, 2024
বাংলাদেশকে ২০০ মি‌লিয়ন ডলারের সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে মার্কিন প্রতি‌নি‌ধি দলের সঙ্গে আলোচনা

বাংলাদেশকে ২০০ মি‌লিয়ন ডলারের সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে মার্কিন প্রতি‌নি‌ধি দলের সঙ্গে আলোচনা

বাংলাদেশকে ২০০ মি‌লিয়ন ডলারের সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে মার্কিন প্রতি‌নি‌ধি দলের সঙ্গে আলোচনা

বাংলাদেশকে ২০০ মি‌লিয়ন ডলারের সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে মার্কিন প্রতি‌নি‌ধি দলের সঙ্গে আলোচনা

অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ঢাকা সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত নিয়ে আলোচনা করেন।রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।

এর আগে, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ফর ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী সচিব ডোনাল্ড লু এই প্রতিনিধি দলে যোগ দেন। দিল্লি সফর শেষে ওইদিন বিকেলে তিনি ঢাকায় পৌঁছান।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, পাচারকৃত টাকা ফেরত দিতে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আরো বিস্তারিত পরে আলোচনা করা হবে।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমাদের মূল আলোচনা ছিল আর্থিক খাতে ট্রেজারি বিভাগ ও ইউএসএআইডি বিশেষ করে আর্থিক সংস্কারের সঙ্গে তাদের যে সহযোগিতা প্রয়োজন। দ্বিতীয় বাণিজ্যে, আমরা বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সহায়তা বা বাজার অনুসন্ধানে রপ্তানি বৈচিত্র্য এবং বাণিজ্য নিয়ে লোচনা করি। আমরা কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাব, সে বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

ইউএসএআইডির সঙ্গে বাংলাদেশ ২০০ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ প্রসঙ্গে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগের চুক্তিতে আরও ২০০ মিলিয়ন ডলারের  যোগ হয়েছে। আগে যা ছিল তার সাথে এটি যোগ করা হয়েছে। তার মানে তারা বেশি টাকা দেবে।কর সংস্কার নিয়ে আলোচনার প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, সব আলোচনা হয়েছে।

একই সঙ্গে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠকের বিষয়ে এক বার্তায় বলেছে, প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের নতুন উদ্যোগকে আমরা সমর্থন করব।

এই লক্ষ্যে, শীর্ষ অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকদের সাথে আলোচনায়, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে সম্পৃক্ত করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেকসই উন্নয়ন ঘিরে তাদের উদ্যোগ ও প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য আমাদের সম্পৃক্ততা আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে মার্কিন প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে ইউএসএআইডির উপ-সহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর এ তথ্য জানান।

অঞ্জলি কৌর বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছি। এর আওতায় সরকারের অগ্রাধিকার খাতে ২০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্র অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চায়। আমরা এখন চুক্তি অনুযায়ী কাজ করব। এই চুক্তিটি মূলত সরকারের অগ্রাধিকারমূলক কাজগুলোকে এগিয়ে নিতে।

উপ-সহকারী বলেন, এই চুক্তি বাংলাদেশের জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধিতে বিশেষ করে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। আমরা স্বাস্থ্যকর শাসনের  ফোকাস করি। আমরা তরুণদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে দেখছি যাতে তারা দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের জনগণই  যেখানে প্রধান অগ্রাধিকার।

তিনি বলেন, এটি কোনো সংশোধনী নয়, এটি একটি নতুন চুক্তি। এটি অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য নতুন অর্থায়ন।

তিনি আরও বলেন, উপদেষ্টাদের সঙ্গে খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। আমরা ভবিষ্যতে আরও একসাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।

এদিকে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউএসএআইডির সঙ্গে বাংলাদেশ ২০০ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এ উপলক্ষে ডেভেলপমেন্ট অবজেক্টিভ গ্রান্ট এগ্রিমেন্টের (ডিওএজি) ষষ্ঠ সংশোধনী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. কে এম শাহাবুদ্দিন এবং ইউএসএআইডি মিশন ডিরেক্টর রিড জে. এশলিম্যান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত এবং সম্পর্কিত সহায়তার একটি চুক্তির অধীনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র এবং সুশাসনের মতো বিভিন্ন খাতে আজ পর্যন্ত ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি অবদান রেখেছে।

আরো পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X