November 9, 2024
ভারতকে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র:চাপে পড়লো ভারত

ভারতকে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র:চাপে পড়লো ভারত

ভারতকে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র:চাপে পড়লো ভারত

ভারতকে নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র:চাপে পড়লো ভারত

রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার জন্য ২টি ভারতীয় শিপিং কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পে রাশিয়ান গ্যাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নোভাটেকের সঙ্গে  জড়িত থাকার অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূলত ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে রাশিয়ার অর্থনীতিতে চাপ বৃদ্ধি এবং দেশটি থেকে এলএনজি গ্যাস রপ্তানি ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। এ কারণে ভারত প্রচন্ড চাপেও রয়েছে।

রাশিয়ার অর্থনীতিতে নিষেধাজ্ঞার চাপ বাড়াতে এবং রাশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি সীমিত করার বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আজারবাইজানের সংবাদ মাধ্যম নিউজ.এজেড-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক অনুমোদিত দুটি ভারতীয় কোম্পানির নাম হলগোটিক শিপিং কোম্পানি ও প্লিও এনার্জি কার্গো শিপিং। মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট মার্কিন নাগরিক ও কোম্পানিগুলোকে এই দুই কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসা করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে।

এই দুই কোম্পানির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে বলেও ট্রেজারি বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়েছে। তবে ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চলতি বছরের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত জাহাজ দুটি পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে সংস্থাটি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসন রাশিয়ার নোভেটেকের ‘আর্কটিক এলএনজি-২’ প্রকল্পে জড়িত থাকার অভিযোগে গোটিক শিপিং কোম্পানি ও প্লিও এনার্জি কার্গো শিপিংকে অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই পদক্ষেপ রাশিয়া থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি রোধ করার একটি বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ। কারণ রাশিয়ার অর্থনীতির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কঠোর করা হচ্ছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে, ওয়াশিংটন ‘আর্কটিক এলএনজি-2’ প্রকল্পের উপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। একই বছরের ডিসেম্বরে, এটি এলএনজি সরঞ্জাম উত্পাদনের সাথে জড়িত বেশ কয়েকটি রাশিয়ান কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এছাড়াও, ওয়াশিংটন সেই সংস্থাগুলিকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার চেষ্টা করছে যেগুলি রাশিয়া সন্দেহ করে যে নিষেধাজ্ঞার পরে রপ্তানি চালিয়ে যেতে এলএনজি ট্যাঙ্কার ব্যবহার করছে।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোও তাদের বন্দর দিয়ে রাশিয়ান এলএনজি পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনা করছে। সিস্টেমটি ২০২৫ সালের বসন্তে কার্যকর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্যাকেজটিতে আর্কটিক এলএনজি-2 এবং মুরমানস্ক এলএনজির মতো রাশিয়ান এলএনজি প্রকল্পগুলির জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ, সরবরাহ এবং পরিষেবাগুলির উপর বিধিনিষেধ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ভারতীয় শিপিং কোম্পানির অন্তর্ভুক্তি তাদের কার্যক্রমকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। এটি নয়াদিল্লির জন্য নেতিবাচক হতে পারে, বিশেষ করে রাশিয়ার সাথে ভারতের শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিবেচনা করে।

নয়াদিল্লি বহু বছর ধরে মস্কোর সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতা বজায় রেখেছে, বিশেষ করে জ্বালানি খাতে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ান জ্বালানি পণ্য সরবরাহের জন্য লজিস্টিক চেইনের সাথে জড়িত ভারতীয় কোম্পানিগুলিকে বিপদে ফেলতে পারে; যা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্কের গতিশীলতাকে প্রভাবিত করতে পারে।

আরো জানুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X