দেখামাত্র গুলির নির্দেশের নিন্দা জানাই: যুক্তরাষ্ট্র
পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা শান্ত ও উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সব সহিংসতার নিন্দা জানাই। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের জন্য আমাদের দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। সারাদেশে ইন্টারনেট বিঘ্নিত হওয়ার চলমান প্রতিবেদনে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এ কারণে মার্কিন নাগরিকসহ বাংলাদেশিদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার ক্ষমতা সীমিত হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন আমরা বাংলাদেশ সরকারকে ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানাই। দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশের নিন্দা জানাই। আমরাও এই নির্দেশনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই। পরিশেষে, পরিস্থিতির প্রতি যথাযথ সম্মানের সাথে, আমি পুনর্ব্যক্ত করছি যে একটি প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।
প্রকৃতপক্ষে, সাংবাদিকদের সর্বত্র স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা অপরিহার্য। নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অপর এক প্রশ্নে তাকে বলা হয়, সারা বিশ্বে বাংলাদেশি নাগরিকরা প্রতিবাদ করছেন। তারা স্টেট ডিপার্টমেন্ট, হোয়াইট হাউস এবং টাইমস স্কয়ারের সামনে বিক্ষোভ করছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, দুবাই এবং আমিরাতের অন্যান্য স্থানে প্রতিবাদ করার জন্য ৫৭ বাংলাদেশিকে ১১ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কি? এবং শেষ পর্যন্ত, আপনি যেভাবে ফোন করছেন এবং অনুরোধ করছেন, আপনি কি বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীকে এতে সাড়া দেওয়ার জন্য বিশ্বাস করতে পারেন? গত ১৫ বছর ধরে আমরা বাংলাদেশকে একটি স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত হতে দেখেছি। তারা নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যবহার করে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করছে।
জবাবে মিলার বলেন, “প্রথম প্রশ্নের জবাবে, আমি প্রথম রিপোর্ট সম্পর্কে অবগত নই।” তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করব না। আমার কাছে প্রকৃত তথ্য না থাকলে আমি সবসময় তাই বলি। কিন্তু যখন বাংলাদেশ সরকারের কথা আসে, আমরা এই সরকারের সাথে অনেক বিষয়ে কাজ করছি। তবুও আমাদের উদ্বেগের বিষয় পরিষ্কার করি। যেমনটা মনে করি এরই মধ্যে আবার আমরা জানিয়েছি।
মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিবাদ করায় বাংলাদেশিদের কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৬০ সেকেন্ড আগে আমি বলেছিলাম এই সুনির্দিষ্ট প্রতিবেদন সম্পর্কে আমি অবগত নই। স্পষ্টতই আমি এই রুম থেকে উঁকি দেইনি এবং যে সময়ের মধ্যে প্রশ্ন করা হয়েছে- সে সময়ে পড়ারও সুযোগ পাইনি। তাই আমি এখনো এই নির্দিষ্ট প্রতিবেদন সম্পর্কে সচেতন নই। তাই বিস্তারিত মন্তব্য করতে পারছি না।
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রায় সম্পর্কে আপনার কোন মন্তব্য আছে কি? এমন প্রশ্নে মিলার বলেন, না। কারণ, কোটা পদ্ধতির বিষয়ে এবং এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, প্রত্যাহার করা- এগুলো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদেরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা শুধুমাত্র সহিংসতার কথা বলতে পারি, ইন্টারনেট বন্ধ করার কথা বলতে পারি এবং মৌলিক মানবাধিকার, মানবিক মর্যাদা এবং স্বাধীনতার কথা বলতে পারি।