November 25, 2024
ঢাবিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্র ও শাখা সম্পাদকের অনুসারীদের সভাবচরিত সংঘর্ষ আহত ১৭

ঢাবিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্র ও শাখা সম্পাদকের অনুসারীদের সভাবচরিত সংঘর্ষ আহত ১৭

ঢাবিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্র ও শাখা সম্পাদকের অনুসারীদের সভাবচরিত সংঘর্ষ আহত ১৭

ঢাবিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্র শাখা সম্পাদকের অনুসারীদের সভাবচরিত সংঘর্ষ আহত ১৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের জের ধরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও শাখা সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের পর শুক্রবার বিকেলে মধুর ক্যান্টিনে আরেকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, জগন্নাথ হলে রাতভর সংঘর্ষের ঘটনার বিচার চেয়ে তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারীরা ছাত্রলীগ সম্পাদক ইনানের কাছে যান। এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে তা হাতাহাতির রূপ নেয়।

মারধরের শিকার সৈকতের অনুসারী ও জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের নেতা পলাশ রায় সৌরভ বলেন, গতকাল রাতে জগন্নাথ হলের কর্মসূচিতে জুনিয়রদের মধ্যে ঝামেলা হয়, সেই ঝামেলা সিনিয়রদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। একজন প্রার্থী ইনান ভাইয়ের গ্রুপে এলেন।তাকে নিয়ে কিছুটা বিশ্রী পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।তারপর আমরা যখন আমাদের নেতাকে বিদায় জানাতে ফিরছিলাম তখন ইনান ভাইয়ের সমর্থকরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।এ হামলায় আমাদের একজন প্রার্থীর মাথা ফেটে যায়। আঘাতের পরে সেলাই প্রয়োজন হয়।  তার অবস্থা খুবই খারাপ।

সেই  মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ মারামারির ঘটনায় । শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের সামনে প্রকাশ্যে তাদের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টার দিকে ধাক্কাধাক্কির মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানা গেছে। রাতে কয়েক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে। এরপর শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এই দুই নেতার সামনে আবারো তাদের অনুসারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জগন্নাথ হলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষ রড, লাঠিসোঁটা ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা-পাল্টা হামলা শুরু করে। সংঘর্ষ শুরু হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

একপর্যায়ে সংঘর্ষ থামাতে ব্যর্থ হয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এই চার নেতা। পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে শোডাউন করেন।

 

সংঘর্ষে আহত হন অপূর্ব চক্রবর্তী, পল্লব মণ্ডল, অর্পণ কুমার বাপ্পী, বিপ্লব পাল, বর্ষণ রায়, অভিষেক ভাদুড়ী, জয় দাসসহ বেশ কয়েকজন। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী শহীদ। মোহাম্মদ মুর্তজা মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। তবে অপূর্ব চক্রবর্তীর মাথায় আটটি সেলাই লাগে।

বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন।

ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত বলেন, মাতাল অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা গণেশ আমার ওপর পড়ে গেলে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে স্থির হয়ে চলে যাই। পরে আমার গ্রুপের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হলের আরও কয়েকটি গ্রুপ একত্রিত হয়ে বাইরের লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। বাইরে থেকে যাদের  আনা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। আমি শুনিনি যে মারামারি হয়েছে। তবে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তেজনা ছিল বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু মারামারির  কথা এখনো শুনিনি। এরকম কিছু হলে আমরা ব্যবস্থা নেব।

এ ঘটনার সূত্র ধরে আজ আবারও দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আজকের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে একজন প্রত্যক্ষদর্শী ও শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের অনুসারী জানান, দুপুরের পর তানভীর হাসান সৈকত ভাইয়ের অনুসারীরা জগন্নাথ হলে গত রাতের মারামারির ঘটনার বিচার করতে ইনান ভাইয়ের কাছে আসছিল। এ সময় পলাশ রায় সৌরভ এক ইনান ভাইয়ের সাথে উচ্চস্বরে ও অভদ্রভাবে কথা বললে ইনান ভাইয়ের অনুসারী কয়েকজন নেতাকর্মী ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

আজকের সংঘর্ষের বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, মধুর ক্যান্টিনে গোলযোগ হয়েছে, শুনেছি। আমি সেখানে আমার বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে আমাকে জানাতে বলেছি। ঘটনার বিস্তারিত জানার পর দেখা যাবে দোষী কে। দোষী যেই হোক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গতকালের গোলযোগে  জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা জানান, রাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আহত হয়েছেন ৩-৪ জন। রাতে তাদের দেখেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।হলেও ভাঙচুর হয়েছে সাধারণত হামলায় যা যা হয়। একজন লাফ দিয়েছে। আমিও তাকে দেখেছি। তিনি আপাতত ভালো আছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X