November 25, 2024
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও কুরেশির ১০ বছরের জেল

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও কুরেশির ১০ বছরের জেল

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও কুরেশির ১০ বছরের জেল

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও কুরেশির ১০ বছরের জেল

সাইফার বা কূটনৈতিক বার্তার মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে একটি বিশেষ আদালত। অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে গঠিত বিশেষ আদালত মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে এই রায় দেয়। ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচন। এক সপ্তাহের কিছু বেশি আগে, আদালতের এই রায় নিয়ে পাকিস্তানে তোলপাড় চলছে। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এখন পর্যন্ত দমন-পীড়নের শিকারেই আছে। নির্বাচনের একপর্যায়ে দলীয় প্রতীক ক্রিকেট ব্যাট হারিয়েছে তারা। দলটির প্রার্থীরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। পর্যবেক্ষকরা ইমরান ও কুরেশির জেলে যাওয়াকে দলের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখেছেন।

সাইফার কেসটি একটি কূটনৈতিক নথিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। সমাবেশের এক পর্যায়ে ইমরান খান তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য দায়ী একটি কূটনৈতিক বার্তা প্রদর্শন করেন।

পিটিআইয়ের তরফ থেকে বারবার বলা হয়েছিল যে এই নথিটি ইমরানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে মার্কিন জড়িত থাকার প্রমাণ। কিন্তু তিনি কখনোই ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির কাছে প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে পারেননি। ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট এই মামলায় ইমরান ও কুরেশিকে আগাম জামিন দেয়। তবে ইমরান অন্য একটি মামলায় কারাবন্দি। অন্যদিকে শাহ মেহমুদ কুরেশির মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ মে তাকে আবার গ্রেফতার করা হয়। কয়েকদিন পর বিচারপতি মিয়াগুল হাসান আওরঙ্গজেব বিশেষ আদালত থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত দুই আসামিকে দেওয়া জামিন প্রত্যাহার করে নেন। তিনি উল্লেখ করেন, এই মামলায় আইনি ত্রুটি রয়েছে। বিশেষ আদালত গত মাসে আদিয়ালা জেলে ইমরান খান ও কুরেশির বিরুদ্ধে বিচার শুরু করে। ১৩ ডিসেম্বর তাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বার অভিযোগ আনা হয়। বর্তমানে তারা দুজনই কারাগারে রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অক্টোবরে প্রথম অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছে। সেখনেই তথ্য ফাঁস মামলায় ইমরান খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড

পাকিস্তানে সাইফার মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে পিটিআইয়ের দুই নেতার উপস্থিতিতে বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। খবর দ্য ডনের

পাকিস্তানে সাইফার কেস মূলত রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁসের মামলাকে বোঝায়। ইমরান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি তার কাছে থাকা রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্যের নথি ফেরত দেননি। অন্যদিকে, ইমরান এবং তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ দাবি করেছে যে নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে মার্কিন হস্তক্ষেপে তাদের সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে।

মঙ্গলবার অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে গঠিত একটি বিশেষ আদালত সাইফার মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে, দ্য ডন জানিয়েছে।

পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা এবং সেই নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে এই রায় ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া নির্বাচনকে সামনে রেখে পিটিআই দলকে সকল রাজ্যে দমন করা হচ্ছে এবং ইমরানের দল নির্বাচনী প্রতীক ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

সর্বশেষ এই রায়ের মাধ্যমে ইমরান খানকে দ্বিতীয়বারের মতো সাজা দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশ্বকাপজয়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী এই তারকা ক্রিকেটারকে ।

তবে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) পরে ইমরানের সাজা স্থগিত করে। যদিও পরে একটি ডিভিশন বেঞ্চ দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে ইমরানের আপিল খারিজ করে দেয়। অন্যদিকে প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধে এটিই প্রথম রায়।

মঙ্গলবার বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। শুনানির শুরুতে, ইমরান এবং কুরেশিকে পাকিস্তান দণ্ডবিধির ৩৪২ ধারার অধীনে একটি প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছিল।

ইমরান তার বক্তব্য রেকর্ড করার পর, আদালত তাকে সাইফারের অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। যার জবাবে ইমরান বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্যে একই কথা বলেছি যা আমি জানি না। সাইফার আমার অফিসে ছিল।’

এদিকে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ইমরানের বিরুদ্ধে রায়কে জালিয়াতির বিচার বলে অভিহিত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ পোস্ট করা একটি বিবৃতিতে, পিটিআই বলেছে যে পাকিস্তান ইমরান এবং কুরেশির পাশে দাঁড়িয়েছে “যারা পাকিস্তানকে রক্ষা করেছেন এবং ‘হাক্কি আজাদি’র পক্ষে দাঁড়িয়েছেন”।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ডোনাল্ড লু-এর নির্দেশে মার্চ-এপ্রিল ২০২২-এ যা ঘটেছিল তা এ জাতীয় কোনও প্রতারণার রায় পরিবর্তন করতে পারে না। সাইফার মামলায় আইনটি সম্পূর্ণভাবে উপহাস করা হয়েছে এবং উপেক্ষা করা হয়েছে।”

বিবৃতিতে ৮ ফেব্রুয়ারি ভোট দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। দলটি বলেছে, “আল্লাহর ইচ্ছা, অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক শীঘ্রই আমাদের সাথে ফিরে আসবে এবং এই সাজা আপিল পর্যায়ে ডাস্টবিনে (নিক্ষেপ করা) হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X